মিরাজুল ইসলাম: এই ইহকালে হাজার খানেক বই এবং অর্ধ শতাধিক নামি-অনামি ড্রয়িং-পেইন্টিং ছাড়া আমার তেমন কোনো ব্যাংক-ব্যালেন্স কিংবা স্থাবর-অস্থাবর জমানো সম্পত্তি নেই। আপাতত বইয়ের কথায় আসি। আব্বা রেখে গিয়েছেন কয়েকশত বাংলা সাহিত্যের বই। তার সাথে যুক্ত হয়েছে একগাদা পুরানো সাহিত্য পত্রিকা। আমার জমানায় কিনেছি, জোগাড় করেছি আরো কয়েকশত বাংলা-ইংরেজি নন-ফিকশন বই। কয়েক বছর আগে বিলিয়ে দিয়েছি কলকাতাকেন্দ্রিক এক সময়ের প্রিয় লেখকদের উপন্যাস এবং যাবতীয় গল্পের বইগুলো।
হুমায়ূন-মিলনের অধিকাংশ বইও পরিচিত স্থানীয় লাইব্রেরীতে দান করে বুক শেল্ফ হাল্কা করেছি। কয়েক বছরে বইমেলায় উপহার পাওয়া বইগুলো এই হিসাবের বাইরে। প্রবাসে আসার আগে পছন্দের প্রয়োজনীয় রেফারেন্স বইগুলো দশটি কার্টনে (প্রতি কার্টনে আনুমানিক ৩০-৪০ টা বই এঁটেছে) রেখে এসেছি। আরো চার/পাঁচ কার্টন সমপরিমান বই বাইরে রাখা আছে। অপেক্ষায় আছি বইগুলোর জন্য। কেবল সাথে করে আনতে পেরেছি মাত্র দুই স্যুটকেস বই এবং প্রিয় বন্ধুদের মাধ্যমে আনিয়েছি আরো দুই স্যুটকেস। মিনেসোটায় পা রাখার পর স্থানীয় লাইব্রেরী সূত্রে বই তেমন কিনতে হয়নি। কেবল রেফারেন্স কিছু নিজের সংগ্রহে রাখার আগ্রহ থেকে গত দুই বছরে কিনেছি আরো গোটা ত্রিশেক বই। বই আমার অক্সিজেন। লেখক ও চিকিৎসক
আপনার মতামত লিখুন :