সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পশ্চিম নাখালপাড়া শিয়া মাজার এলাকায় রনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. মোরশেদ আহম্মেদকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার জামালপুরের মাদারগঞ্জ চর ভাটিয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৩] ডিএমপির তেজগাঁও থানা সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তকে ধরতে কৃষক ছদ্মবেশে মাদারগঞ্জ অবস্থান করে পুলিশ। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘুমে ব্যঘাত করায় রনিকে হত্যা করে মোরশেদ।
[৪] তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসীন জানান, মোরশেদ তেজগাঁওয়ের পশ্চিম নাখালপাড়া শিয়া মাজার এলাকায় ভাড়া থাকতেন। ওই বাসার মালিক রনি। মোরশেদকে যে কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয় সেই কক্ষেই রনি ও তার বন্ধুরা তাস খেলতেন এবং মাদকসেবন করতেন।
[৫] তাদের খেলার জন্য মোরশেদকে প্রায়ই দেরিতে ঘুমাতে হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার বাক-বিতণ্ডাও হয়। গত ২৫ মে রাতেও ওই কক্ষে রনি তার বন্ধু মশিউর, বায়জুদুল ইসলাম, একিন, অবিতকে নিয়ে তাস খেলছিলেন।
[৬] মোরশেদ আসার পর তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মোরশেদ ছুরি দিয়ে রনিকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এসময় রনির বন্ধুরা চিৎকার করলে রনির ভাই রফিক ছুটে আসেন।
[৭] তিনি বাধা দিতে চাইলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান মোরশেদ। গুরুতর আহত অবস্থায় রনি ও রফিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই জামালপুর পালিয়ে যান রনি। পরে পুলিশ কৃষকের ছদ্মবেশে সেখানে গিয়ে মোরশেদকে গ্রেপ্তার করে। সম্পাদনা: এল আর বাদল
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :