মুনশি জাকির হোসেন: সদ্য খুন হওয়া ঝিনাইদহের এমপি আনার ৯০ এর দশকে ঝিনাইদহের জনপ্রিয় ক্রিকেটার ছিলেন। সেই সময়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পরিচিত ছিল ফেনসিডিলের জন্য, স্থানীয়ভাবে ডাইল বলা হতো। ওই ফেনসিডিলের ভারত থেকে ঢাকার নিরাপদ রুট ছিল কালিগঞ্জ। ঘটনাক্রমে আনার ওই মাদক রুটের সাথে জড়িয়ে যান। এর পর আনার জড়িয়ে যান সোনাপাচার, হুন্ডির সাথে। সাথে পূর্ববাংলা কমিউনিস্টের সাথেও যোগাযোগ হয় নিরাপদ রুটের জন্যই। অল্পদিনেই আনার নিজের খেলোয়াড় পরিচয় কাজে লাগিয়ে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পূর্ববাংলার এক নেতা শামছুল ওরফে রবিন র্যাবের ক্রসফায়ারে মারা যায়, এখন গ্রেপ্তার হওয়া আমানউল্লাহ/শিমুল ছিল ওই রবিনের শিষ্য। রবিনের ক্রসফায়ারের জন্য পূর্ববাংলা আনারকে তখন থেকে সন্দেহ করে আসছিল। এর উপর ভারত সীমান্তের সোনা চোরাচালান/হুন্ডির ব্যবসা নতুন অনুষঙ্গ। আনার যে পথে এমপি হয়েছে সে পথেই চলে গেছে। এখন প্রশ্ন হলো, আওয়ামী লীগ কেন আনারের মতো মানুষকে এমপি পদে মনোনয়ন দেয় এবং দিচ্ছে, এটি নিয়ে। ইয়াবা বদি এমনই আরেকজন। এরকম কয়েক ডজন এমপি এখন আওয়ামী লীগে আছে। ২৩-৫-২০২৪। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :