শিশির ভট্টাচার্য্য: ইসলাম ধর্মের যে একটা বিষয় আমার ভালো লাগে, কিন্তু বেশির ভাগ মুমীন যার খুব একটা ধার ধারে না, সেই বিষয়টি ‘তাকওয়া’। আমাদের দেশে এর অর্থ করা হয় ‘খোদাভীতি’। এক আরবকে জিগ্যেস করেছিলাম, শব্দটির অর্থ কী। আরব বলেছিল, খোদাকে ভয় করার কী আছে? তিনি তো বন্ধুর মতো। মনে করো, আরব বলতে থাকে, খোদা তাঁর এক বন্ধুকে খুবই বিশ্বাস করেন এবং ভালোবাসেন। এখন বন্ধুটি যদি ওনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তবে বন্ধুর প্রতি তিনি প্রথম যে দৃষ্টিপাতটি করবেন তাতে অবশ্যই থাকবে বিস্ময়ান্বিত ঘৃণা: ‘তুই, তোকে আমি এতো ভালোবাসি, বিশ্বাস করি, তুই শেষ পর্যন্ত এমন নীচ কাজ করলি রে!’ এই ঘৃণার দৃষ্টিতে আল্লাহ যেন তার প্রিয় মানুষের দিকে না তাকান, সেই ভয়টাই ‘তাকওয়া’। কী চমৎকার একটা আইডিয়া।
আলহাজ্জ্ব ডক্টর, শুদ্ধাচারী বেনজীরদের মতো লোকেরা তাকওয়ার পরোয়া করে না, বুঝলাম, কিন্তু নিজের তিন মেয়ে এবং স্ত্রীর দিকে তিনি কি স্বাভাবিকভাবে তাকাতে পারেন? তারাইবা কেমন দৃষ্টিতে পিতাটি বা স্বামীখানার দিকে তাকান? প্রশ্নটা আমি বাংলাদেশের সর্বস্তরের তথাকথিত মুমীন দুর্নীতিবাজদের কাছে রাখলাম। আপনারা হালাল মুরগি, হালাল সাবান খোঁজেন, কিন্তু হারামের টাকা কীভাবে বেমালুম হজম করে ফেলেন, এটা আমার কাছে একটা বিস্ময়। এর একটাই উপসংহার টানা যায়: বেনজীররা এবং আপনারা নিশ্চিত, মহান তিনি এবং তেনার নামে চলা সব ধর্মের সব গ্রন্থ ভুয়া, বাকোয়াস। তা যদি না হয়, তবে এত শত চার নম্বরী করা কীভাবে মুমীনের পক্ষে সম্ভব? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :