আমিনুল ইসলাম: [২] জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেছেন নারী উদ্যোক্তা রুবাইয়াত ফাতিমা তনি।
[৩] অভিযোগ তিনি বলেছেন, আমার ব্যবসা শেষ করে দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
[৪] এর আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডলের নেতৃত্বে অভিযানে দুই দফায় জরিমানা করা হয় তনির প্রতিষ্ঠান সানবিস বাইকে।
[৫] গত ১৩ মে জরিমানা দেয়ার পর থেকে শোরুম খুলে দিতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও জব্বার মন্ডলসহ একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছেন তনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো সুরাহা না হওয়ায় মঙ্গলবার (২১ মে) অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ৮ জনকে আইনি নোটিশ পাঠান তনির আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন।
[৬] একই সঙ্গে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন (পিটিশন নং ৬৩৩৯/২৪) দায়ের করেছেন।
[৭] জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিলের গ্রাহকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় সানবিস বাই তনির প্রধান শোরুমে ১২ মে অভিযান চালান ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা জেলার সহকারী পরিচালক জব্বার মণ্ডল ও ইন্দ্রানী রায়। সেদিন তার শোরুম সিলগালা করে দেওয়া হয় এবং অভিযোগের শুনানির জন্য পরের দিন তনিকে অধিদপ্তরের হাজির হতে বলা হয়। ১৩ মে তনি অধিদপ্তরে গেলে শুনানি করে তাকে দুই দফায় ৫০ হাজার ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ভোক্তা অধিকার তনির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সানবিসের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
[৮] তবে এ নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন তনি। তিনি বলছেন, তাকে যে জরিমানা করা হয়েছে তা বেআইনি। অন্যান্য শোরুমগুলোতেও অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার থেকে জরিমানার টাকা আদায় করা হয়। জরিমানার টাকা দিলে শোরুম খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন জব্বার মন্ডল। কিন্তু খুলে না দেওয়ায় জরিমানাসহ শোরুম বন্ধের প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
[৯] এ বিষয়ে ঢাকা জেলার সহকারী পরিচালক জব্বার মণ্ডল কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তনি যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক ও বিভ্রান্তিকর। অভিযোগকারীরর গুলশান প্লাজায় আউট লেট পরিদর্শনকালে পোশাক পাকিস্তানি কি না তার সপক্ষে কোন দালিলিক প্রমাণাদি দেখাতে পারেনি। এছাড়া কোন প্রকার লাইসেন্স ছাড়াই বৈধ আমদানিকারক বিহীন বিভিন্ন ব্র্যাণ্ডের প্রশাধনি বিক্রি করার অপরাধে উক্ত আউটলেটটি সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা যা করেছি আইন মেনেই করেছি।
[১০] এ বিষয় নিয়ে রোবাইয়াত ফাতিমা তনি বলেন, ‘আমি একজন তরুণ নারী ও উদ্যোক্তা। আমার কোনো ভুল থাকলে সেটা সংশোধন করে নিতে কোনো সমস্যা নেই। আমি পুলিশ প্লাজার একটি শো-রুম থেকেই মাসে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা করে সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স দেই। কিন্তু ওনারা একটা বেআইনি অভিযোগ দেখিয়ে আমাকে জরিমানা করেছেন। আরেকটা সম্পূর্ণ ভুয়া অভিযোগ। এরও আমার শো-রুম খুলতে দেয়নি। এখন আমি কী করব? বাধ্য হয়ে আদালতে গিয়েছি।’
[১১] তিনি আরো বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, আমার এক ব্যবসায়ীক প্রতিদ্বন্দ্বী জব্বার মন্ডলের বন্ধু। তাকে সুবিধা করে দিতেই তিনি সানবিসকে টার্গেট করেছে। আমি এটা তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করছি। রেডি হলে আইনি ব্যবস্থা নেব।’ সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এআই/কে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :