পাবনায় নামাজরত অবস্থায় নিজাম প্রামানিক (৬০) নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার মাদকাসক্ত ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) রাতে উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের ভাদুড়ীডাঙ্গি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম নিজাম প্রামাণিক (৬০)। তিনি পেশায় চায়ের দোকানদার ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিজাম প্রামাণিক নবীন বাজার এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালাতেন। তার ছেলে মোস্তফা আগে বাড়ির কাজে সহযোগিতা করলেও কিছুদিন ধরে মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া করত। সম্প্রতি বাবা টাকা দিতে অস্বীকার করলে সে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। রোববার রাতে নিজাম প্রামাণিক এশার নামাজ আদায় করছিলেন। এ সময় মোস্তফা ধারালো হাসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান নিজাম।
পরে স্থানীয়রা ঘাতক ছেলেকে আটক করে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত মোস্তফা ছুরিকাঘাতে তিন পুলিশ সদস্যকেও আহত করে। পরে তাকে আটক করা হয়।
নিহতের সেজ ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, আমার বাবাকে নামাজরত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করেছে৷ আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষে রুমে শুয়ে আছি, এমন সময় রুম আটকিয়ে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। সে মাদকের জন্য প্রায়ই বাবা ও আমাদের থেকে টাকা চাইত। না দিলেই বাড়িতে ভাঙচুর চালাতো। তাকে এখনই ক্রসফায়ারে হত্যা করলেও আমার ও পরিবারের কোনো দাবি-দাওয়া থাকবে না। তাকে এখনই ফাঁসি দেওয়া হোক।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নামাজরত অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে মোস্তফা। তাকে আটক করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান। উৎস: আরটিভি অনলাইন।