শিরোনাম
◈ আরপিও ২০ ধারার সংশোধনী: রাজনৈতিক অধিকার বনাম আইনগত বাধ্যবাধকতা ◈ পাঁচ দুর্বল ইসলামী ব্যাংক একীভূত: নতুন ‘সম্মিলিত ব্যাংক’ গঠনের পথে সুযোগ ও ঝুঁকি ◈ নৌ, বস্ত্র ও পাট, পরিকল্পনা ও সমবায়ে নতুন সচিব ◈ যারা চাপে পড়বেন নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হলে ◈ প্রার্থীদের ঋণতথ্য যাচাইয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আসা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ সাংবাদিককে কনুই মারলেন বিএনপি নেতা সালাম, ভিডিও ভাইরাল ◈ বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নিল ভারতীয় দূতাবাস ◈ গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে সোমবার! ◈ দুর্দান্ত ব‌্যা‌টিং‌য়ে অঙ্কনের শতক, ঘুরে দাঁড়ালো ঢাকা বিভাগ 

প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:০৩ বিকাল
আপডেট : ০৩ নভেম্বর, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গণভোটের সঙ্গে জুলাই সনদের আদেশ দিতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

ফরহাদ হোসেন, ভোলা প্রতিনিধি: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাই সনদ ঘোষণার বৈধতা কেবল গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই আসে। যেহেতু গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় এসেছেন, তাই জুলাই সনদের আদেশ তিনিই দেবেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যেই দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘কোনো অধ্যাদেশ নয়, কোনো প্রজ্ঞাপন নয় — গণভোটের সঙ্গে সঙ্গে জুলাই সনদের আদেশ দিতে হবে, এবং সেই আদেশ অবশ্যই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাধ্যমেই জারি হতে হবে।’

রবিবার দুপুরে ভোলা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, একটি পক্ষ চায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু জুলাই সনদের আদেশ দেবেন। চুপ্পুর কাছ থেকে যদি জুলাই সনদের সার্টিফিকেট নিতে হয়, তাহলে আমাদের সবার নদীতে ডুবে যাওয়াই ভালো। চুপ্পু যদি জুলাই সার্টিফিকেট দেন, তা জানলে জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধারা মর্মাহত হয়ে আত্মহত্যা করবেন।’

তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে—বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এখন চুপ্পুর হাতে বায়াত হয়ে জুলাইয়ের সনদ নিতে চায়। এর চেয়ে দুঃখজনক ও পরিতাপের বিষয় আর কিছু হতে পারে না। ফ্যাসিবাদের সুপ্রিম লিডার চুপ্পুর হাত থেকে বায়াত নিয়ে যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য অবশ্যই সন্দেহজনক।’

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী এই সরকারের যদি সংস্কার ও জুলাই সনদ ঘোষণার ম্যান্ডেট না থাকে, তবে এই সরকার কোন ম্যান্ডেটে নির্বাচন দেবে—সেই প্রশ্নের উত্তর আমি জানতে চাই। নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারিতেই হওয়া উচিত। যারা নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চায়, তারাই এই সরকারের সঙ্গে জুলাই সনদকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের যেমন নির্বাচনের ম্যান্ডেট আছে, তেমনি জুলাই সনদ ঘোষণার এবং সংস্কার বাস্তবায়নের ম্যান্ডেটও রয়েছে। সুতরাং সংস্কার প্রক্রিয়া যথাসময়ে সম্পন্ন করে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। এনসিপির অবস্থানই হবে শেষ পর্যন্ত সব রাজনৈতিক দলের অভিন্ন অবস্থান।’

আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য জোট প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে জোট হবে তাদেরই, যারা সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা, দেড় দশকের লড়াইয়ের ক্ষোভ এবং রাষ্ট্র ও সাংবিধানিক কাঠামোর দুর্বলতা দূরীকরণে যারা আমাদের পাশে থাকবে—তারাই আমাদের সম্ভাব্য সহযোগী।’

দলীয় কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির ভোলা জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান শরীফ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন এবং দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু।

এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ও যুগ্ম সদস্য সচিব এবং শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, ভোলা জেলা যুগ্ম সমন্বয়ক আবুল হাসনাত হাসনাইনসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়