জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর: [২] লক্ষ্মীপুরে স্কুল ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে জিহাদ হোসেন জিকু নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
[৩] রবিবার (৩ মার্চ) বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে লাহারকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রবাসীর বাড়ির দরজা-জানালা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার জেরে প্রতিপক্ষ এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
[৪] ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জিকু লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র এবং লাহারকান্দি গ্রামের আবুধাবি প্রবাসী রুহুল আমিনের ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন- মো. জসিম (২০), রুবেল (২১) সহ ১০/১৫ জন। তারা একই এলাকার বাসিন্দা।
[৫] ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় সহিদ গংদের সঙ্গে প্রবাসী রুহুল আমিনের পরিবারের জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে মো. জসিমের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল বাড়িতে গিয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে। একপর্যায়ে দরজা জানালা ভাঙচুর করে ১ ভরি স্বর্ণ, মোবাইল ও নগদ ৮৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। এতে বাঁধা দিলে জোসনা বেগম সহ ৫ জনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
[৬] পরে ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর থানায় রুহুল আমিনের স্ত্রী জোসনা বেগম বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থেকে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী পরিবারকে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি দেয়। রবিবার (৩ মার্চ) লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে রুবেলের নের্তৃত্বে ১০/১৫ জন জিকুকে মারধর করে।
[৭] ভুক্তভোগীর মা জোসনা বেগম বলেন, স্থানীয়রা জিকুকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়ায় জিকুকে হত্যা করতে মারধর করা হয়। এসময় তাদের পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন তিনি।
[৮] লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা: এ কে আজাদ বলেন, স্কুল ছাত্র জিকুকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সিটি স্ক্যান রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা যাবে। তার প্রচুর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।
[৯] লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ঘটনাটি কেউ পুলিশকে জানায়নি। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :