ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। নির্বাচনের ফলাফলকে ঘিরে বিভিন্ন পক্ষ থেকে নানা ধরনের অভিযোগ ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। সূত্র: গ্লোবাল টিভি
নির্বাচনের পর থেকেই পরাজিত পক্ষ এবং একটি নির্দিষ্ট ফলাফলের প্রত্যাশায় থাকা গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিভিন্ন কাল্পনিক অভিযোগ ও রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরির চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে ওঠা একটি অভিযোগ, যেখানে বলা হচ্ছে তিনি কলকাতা থেকে ছাত্রলীগকে শিবিরের পক্ষে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এই অভিযোগের কোনো সত্যতা এখনো মেলেনি।
এদিকে, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশেপাশে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। নীলক্ষেত এলাকায় ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে জামায়াতের কর্মী-সমর্থকদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, শাহবাগে যুবদলের নেতাকর্মীরা প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে স্লোগান দিয়েছে। এমনকি, শিবিরের কর্মীদের তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দিতেও শোনা গেছে, যেখানে তারা দাবি করছে যে তাদের ভাই ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন। এই ধরণের ঘটনাগুলো দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেককেই চিন্তিত করে তুলেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ডাকসু নির্বাচনের এই ফলাফল দেশের 'ভাবের রাজনীতি'কে আরও শক্তিশালী করবে। এখানে ক্ষমতার দাপট, প্রশাসন ও মিডিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণই রাজনৈতিক শক্তি নির্ধারণে মূল ভূমিকা পালন করবে। তাদের মতে, ডাকসুতে শিবির ও জামায়াতের এই বিজয় তাদের 'ভাবের রাজনীতি'কে আরও বেশি গুরুত্ব দেবে।
এছাড়াও, ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস, এনসিপি এবং জামাতের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়েও নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তারেক রহমানের সাথে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের বৈঠক এবং পরবর্তীতে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশের পর এনসিপির পাঁচজন নেতার অভিমান করে চলে যাওয়ার ঘটনাটি এই জোটের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে।