স্পোর্টস ডেস্ক : কালাম আর রিজানের পার্টনারশীপে জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশের যুবারা। দলের শুরুটা একদমই ভালো ছিল না। আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়ায় সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
তবে কালাম সিদ্দিকি ও রিজান হোসেনের দুর্দান্ত জুটিতে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। শেষ বিকেলে আলোক স্বল্পতায় পুরো ৫০ ওভার খেলা সম্ভব হয়নি। তাতে ডিএল মেথডে ৫ রানে জিতেছে বাংলাদেশের যুবারা।
বগুড়ায় টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান করে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জবাবে ৪৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান তুলে বাংলাদেশ।
শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ফেরেন জাওয়াদ আবরার। ৭ বলে ১০ রান করেছেন এই ওপেনার। তিনে নেমে ব্যর্থ আজিজুল হাকিম তামিম। ৫ বল খেলে ডাক খেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আরেক ওপেনার রিফাত বেগ ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরেছেন ৩০ বলে ২৬ রান করে। তাতে দলীয় ৬০ রানেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ। দলের এমন বিপদে হাল ধরেন রিজান ও কালাম।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে রিজান-কালাম মিলে যোগ করেন ১৩৯ রান। সেঞ্চুরি তুলে নেন কালাম। ১১৯ বলে ১০১ রান করে কালাম ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় রানরেটের সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করেন রিজান। সেই পথে ভালোভাবেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে শেষদিকে দেখা দেয় আলোকস্বল্পতা। তাতে ৪৬ ওভার পর আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি আম্পায়াররা। ডিএল মেথডে এগিয়ে থাকায় ৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৫ রান যোগ করেন দুই আফগান ওপেনার খালিদ আহমেদজাই ও ওসমান সাদাত। যদিও পরপরই বিদায় নেন দুজনই। ৩৩ বলে ৩৪ রান করেন খালিদ। এ ছাড়া ওসমান ২৬ বলে ১৫ রান করেন।
অন্য প্রান্তে নিয়মিত উইকেটের পতন হলেও একপ্রান্তে টিকেছিলেন উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই। শতকের দেখা পেয়েছেন এই ব্যাটার। এমনকি ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন। তার ১৩৭ বলে ১৪০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের পুঁজি পেয়েছে আফগানিস্তান। ১৪০ রানের অনবদ্য ইনিংসটিতে ১৬টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন ইকবাল হোসেন ইমন। এই পেসার একাই শিকার করেছেন ৫টি উইকেট।