ঘূর্ণিঝড় মোন্থা প্রবল বেগে উপকূল অতিক্রম করছে এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছে। ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের বেশ কয়েক ঘণ্টা ঝড়ের তাণ্ডব মোকাবিলা করতে হতে পারে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের বরাতে আনন্দবাজারসহ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল শুরু হয়েছে। বর্তমানে সেটি অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল তছনছ করছে। পশ্চিমবঙ্গে বড় আঘাত হানার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবুও উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের প্রকাশিত বুলেটিন বলছে, শেষ ছয় ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে ১৫ কিলোমিটার গতিতে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে মোন্থা। সন্ধ্যায় অন্ধ্র উপকূলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হয়ে তার আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মছলিপত্তনম এবং কলিঙ্গপত্তনমের মাঝে কাকিনাড়ার কাছে তার ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী তিন থেকে চার ঘণ্টা চলবে এই প্রক্রিয়া। তার পরে ক্রমশ উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে।
ভারতীয় আবহাওয়া ভবন (আইএমডি) জানিয়েছে, ল্যান্ডফলের সময়ে ঝড়ের গতি থাকবে প্রায় ৯০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। দমকা ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কলকাতাসহ কোনো কোনো জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বভাস রয়েছে। বুধবার থেকে উত্তরবঙ্গেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতার দক্ষিণের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি এবং দমকা ঝোড়ো হাওয়ার জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে হতে পারে ভারী (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে। শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।