একজন পাহাড়ি নারী সেনা কর্মকর্তা নিজের পরিচিতি এবং কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে দেশের প্রতিটি কোণে সম্প্রীতির আলো ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি নিজের পরিচয় দেন— "আমি একজন নারী, একজন পাহাড়ি এবং একজন সেনা সদস্য" এবং জানান যে দেশের সেবায় তিনি সদা প্রস্তুত। বাংলাভিশন
গর্বের বিষয়:
এই কর্মকর্তা জানান, নিজের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কাছে উদাহরণ হতে পারাটাই তার জীবনের সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয়।
তিনি মাতৃভূমির সেবায় নিবেদিত প্রাণ হিসেবে নিজেকে উল্লেখ করেন, এবং বলেন দেশের প্রতিটি কোণে সম্প্রীতির আলো ছড়িয়ে দিতে তিনি সর্বদা প্রস্তুত।
পাহাড়ি এলাকার উন্নয়ন ও শিক্ষা:
তিনি রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়াচর উপজেলার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, তার দাদুবাড়ির অঞ্চলে আগে মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না বললেই চলে এবং যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল খুবই দুর্গম, যার ফলে বাচ্চারা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হতো।
তবে তিনি উল্লেখ করেন যে বর্তমান পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। সেনাবাহিনী এবং সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটায় এখন দুর্গম এলাকার বাচ্চারাও সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে।
সেনাবাহিনীতে যোগদানের অনুপ্রেরণা:
সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করার সুবাদে তিনি খুব কাছ থেকে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড দেখার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি জানান, সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগী ও সাহসিকতার মনোভাব তাকে এই বাহিনীতে যোগদানের জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।