পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় একবার জাল ফেলে ৭৮ হাজার টাকার মাছ ধরেছেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার জেলে ইছহাক সরদার। বুধবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে তার জালে ১০ ও ৪ কেজি ওজনের দুটি পাঙাশের পাশাপাশি সাড়ে ২৩ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরা পড়ে।
বৃহস্পতিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট বাজারের আনুখার আড়তে প্রকাশ্য নিলামে মাছগুলো বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা ৬২ হাজার টাকায় কেনেন কাতলাটিকে। এছাড়া পাঙাশ দুটিকে ১৬ হাজার টাকায় অন্যত্র বিক্রি করেন জেলে ইছহাক সরদার।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার জেলে ও স্থানীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ইছহাক সরদার বলেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে ক্রম অনুসারে তারা সাত ভাগীদার পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে বের হন। ফেরিঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার উত্তরে জেলার সীমান্তবর্তী দেবগ্রাম মুন্সিপাড়া এলাকায় রাত ১২টার দিকে পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় ঘাইলা বেড় বা ফ্যাশন জাল ফেলেন। জাল ফেলে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর কয়েকবার ঝাঁকি দিলে বুঝতে পারেন, বড় কোনো মাছ ধরা পড়েছে।
ইছহাক সরদার বলেন, জাল গুটিয়ে নৌকায় তুলতেই প্রথমে মাঝারি আকারের একটি পাঙাশ দেখতে পান। জাল গোটানো শেষে বড় একটি কাতলা ও একটি ছোট পাঙাশ ধরা পড়ে। একসঙ্গে তিনটি দামি মাছ ধরা পড়ায় সবাই খুশি হন। মাছগুলো বিক্রির জন্য আজ সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট বাজারে আনেন। নিলামে কাতলাটি ২ হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে ৬২ হাজার, ১০ কেজির পাঙাশটি ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে এবং চার কেজির পাঙাশটি এক হাজার টাকা কেজি ধরে অন্যত্র বিক্রি করেন।
জেলে ইছহাক সরদার আরও বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করে কখনো মাছ পাই, আবার কোনো দিন একটিও পাই না। এবার একসঙ্গে তিনটি দামি মাছ পাওয়ায় আমাদের কাছে অনেকটা ঈদের আনন্দের মতো লাগছে। প্রায় ৭৮ হাজার টাকা বিক্রি করে আড়তদারদের দিতে হয় একটা অংশ। তারপরও আমরা অনেক খুশি।’
দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, প্রায় ২৪ কেজি ওজনের কাতলাটি নিলামে বিক্রির জন্য তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ২ হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৬২ হাজার টাকায় কিনেছেন। কেজিপ্রতি ১০০ টাকা করে লাভ হলেই বিক্রি করে দেবেন। এ জন্য নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করার পাশাপাশি পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
সূত্র: ইত্তেফাক