শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগের দুজনকে ছাড়াতে ওসিকে যুবদল নেতার হুমকি, ‘আপনার রিজিক উঠে গেছে’ ◈ ৬’শ টাকায় যত খুশী ততবার ট্রেন ভ্রমণ, জানে না অনেকেই! (ভিডিও) ◈ আলী রীয়াজকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ  ◈ হ‌কি সি‌রি‌জের প্রথম ম‌্যা‌চে বাংলা‌দেশ ৮-২ গো‌লে হে‌রে গে‌লো পাকিস্তানের কা‌ছে ◈ ফের গ্রিন কার্ডের জন্য কঠিন শর্ত দিলো যুক্তরাষ্ট্র ◈ সন্ত্রাসী‌দের ভ‌য়ে পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরতে চাওয়া নিজ দে‌শের ক্রিকেটারদের কড়া বার্তা দিলো লঙ্কান বোর্ড ◈ আর্চারিতে মিশ্র ই‌ভে‌ন্টে ভারতের কাছে হেরে রৌপ‌্য পদক জিতল বাংলাদেশ ◈ প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জুলাই সনদ লঙ্ঘিত হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ ◈ যশোরে যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:২৭ বিকাল
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নোয়াখালীর হাতিয়ায় প্রধান শিক্ষকের অনিয়মে শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা

মোহাম্মদ সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হেদায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামারুল ইসলাম কচির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, সহকারী শিক্ষককে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করা, ভুয়া সংবাদপত্র কাটিং ব্যবহার করে শিক্ষক নিয়োগ, বেতন অনিয়ম ও বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতিসহ একাধিক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামারুল ইসলাম কচি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ এমপি মোহাম্মদ আলীর ভাগিনা পরিচয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে যোগ দেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেন এবং প্রশাসনিক নানা অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ভুয়া কাটিং ব্যবহার করে কামরুল ইসলাম রবিন নামের এক শিক্ষককে লোকাল কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেন তিনি। একইভাবে চন্দন লাল নামের আরেক শিক্ষককেও লোকাল কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে ঘুষ হিসেবে মোটা অঙ্কের টাকা গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এছাড়া এই দুই শিক্ষক লোকাল কমিটি থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাদের “এরিয়া বেতন” দেখিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে রাজস্ব তহবিল থেকে ২ লাখ ২৪ হাজার ৮২৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে, যা প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ভাগাভাগি হয় বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মানিক উদ্দিন আহমদ (মানিক লাল) অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক চাপে তাকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চাকরিচ্যুতির পর তিনি আদালতে মামলা করেন (মামলা নং ৫৪/২৩)। মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায়ও প্রধান শিক্ষক মাউশিকে ভুল তথ্য দিয়ে তার ইনডেক্স বাতিল করান এবং এনটিআরসিতে শূন্য পদ দেখিয়ে নতুন নিয়োগের আবেদন করেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের দুটি শাখা থাকলেও প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে নিয়মিত পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভাজন ও হতাশা।

অভিভাবক ও স্থানীয়রা বলেন, এভাবে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে থাকলে বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি ও শিক্ষক নিয়োগ কার্যত শূন্য পর্যায়ে চলে আসবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে হেদায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামারুল ইসলাম কচির মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

জেলা শিক্ষা অফিসার নুর উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, এই বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দ্রুত প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়