শাহানাজ খুশি: ভালবাসা দিবস (ভ্যালেন্টাইন ডে), মা দিবস, বাবা দিবস, বন্ধু দিবসসহ, অনেক দিবস নিয়ে আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তো বটেই, সব জায়গায় একটা উৎসব মুখর আয়োজন থাকে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসটা রাষ্ট্রীয় কিছু আয়োজন, শহীদ পরিবার, এবং খুবই অল্প সংখ্যক মানুষ ছাড়া, কারও কিছু আসে যাই না। শুধু শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস নয়, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, মাতৃভাষা দিবস হয়ে গেছে ছুটি গোনা দিবস। এই ছুটি গুনে সামাজিক, পারিবারিক গেট-টুগেদার হয়। বেশিরভাগ পরিবারের বেড়ে ওঠা সন্তানরা এইদিনগুলো সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেনা। জানেনা কি এদেশের জন্য এসব মহান মানুষ গুলোর আত্মত্যাগের কোন একটি ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত সকল কিছু শুধু যেন সরকারের কিছু আনুষ্ঠানিকতা, তাদেরই দায়। এইযে জানার, উপলব্ধির শুন্যতা, সেটা থেকে অবজ্ঞা,অশ্রদ্ধা এটার ফলাফল সমাজে নানাভাবে বিস্তার হতে শুরু করেছে। এর থেকে নিজ নিজ পরিবারও রক্ষা পাবে না। দুদিন আগে এবং দুদিন পরে। দেশের ইতিহাস জানা, ধারণ করা, সে ইতিহাসের প্রতি কৃতজ্ঞচিত্তে শ্রদ্ধানত হওয়া কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়। এটা প্রত্যেক নাগরিকের, নিজেস্ব অস্তিত্ব, নাগরিক দায়িত্ব। সামনে বাড়তে হলে, উন্নত অবস্থানে নিজের পরিচয় পুর্নাঙ্গ করতে হলে, এই দেশ গড়ার আত্মত্যাগের ইতিহাস সঠিকভাবে জানার প্রয়োজন পড়বেই। এদেশে আমার, আপনার সবার। দেশের প্রতি আমাদের সম্মান এবং মুক্তবুদ্ধির প্রকাশই সবকটা জানালা খুলে দিতে পারে। আমাদের ইতিহাস বড় বেদনার এবং গৌরবের ইতিহাস। সে ইতিহাস পাশ কাটিয়ে চলে গেলে, নিজের পরিবার, প্রজন্মের মূল অধ্যায় অপূর্ণ থেকে যাবে। আমরা এমনই প্রতিহিংসা পরায়ণ জাতি যে, সরকারের বিরোধীতা করতে করতে ক্রমেই আমরা স্বাধীনতা বিরোধী, দেশের জন্ম বিরোধী হয়ে উঠছি। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে, আজ বেসুমার বুদ্ধিবৃত্তি অন্যায়ভাবে হত্যা হচ্ছে। এ ক্ষতি আমরা পূরণ করতে পারবো কি? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :