গোলাম সারোয়ার: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অভিনব কায়দায় গরু চুরির প্রাক্কালে ০২ টি গরু’সহ গরু চোর চক্রের ০২ সদস্য আটক করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।
[৩] গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প আসামীদ্বয়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন লামাবায়েক দক্ষিণপাড়া সাকিনস্থ মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে বালুর মাঠ হতে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সকালে গরু চোর চক্রের ০২ সদস্যকে আটক করা হয়।
[৪] সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন লামাবায়েক এলাকা থেকে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এবং স্কোয়াড কমান্ডার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইন এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে একটি গরু চোর চক্রের ০২ সদস্য জেলার সদর উপজেলার বেহাইর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. শফিকুল (৩২) এবং একই জেলার কোতয়ালী থানার আকুয়া চুকাইতলা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে মেহেদী হাসান মুন্না (২৩), ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে চুরি যাওয়া ০২ টি গরু সহ আটক করা হয়।
[৫] আটককৃত মো. শফিকুল, মেহেদী হাসান মুন্না এবং চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যের যোগসাজোসে বিভিন্ন এলাকা হতে গরু চুরি করে।
[৬] আটককৃত আসামিদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় যে, পলাতক আসামীর সহায়তায় নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল এলাকা হতে অজ্ঞাত ব্যক্তির গরু ০২ টি চুরি করেছে। উক্ত গরু ০২ টি প্রাইভেটকারের ভিতরে অভিনব কায়দায় নিয়ে আসে। চুরি করা গরু সুযোগ বুঝে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে থাকে।
[৭] জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, গরু চোর চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায়, গরু চুরি করে থাকে তারা সুযোগ বুঝে এলাকা পরিবর্তন করে । আর সেই গরু বহন করার জন্য চোর চক্র কালো গ্লাসের প্রাইভেটকার ব্যবহার করে। প্রাইভেটকারের মধ্যে গরুর চার পা বেধে ড্রাইভারের সিটের পিছনের সিটে বহন করে।
[৮] উপরোক্ত ঘটনা সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে ব্র্াহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী