সুজন কৈরী : [২] একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন একজন যুবক। কিন্তু কোভিডের পরিস্থিতে তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে বাদ দেয়া হয়। চাকরি হারিয়ে ওই যুবক অর্থ কষ্টে ভুগছিলেন এবং মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। অবসাদ কাটাতে তিনি কয়েকটি ঘুমের ওষুধ সেবন করে চাকরির খোঁজে বের হয়েছিলেন এবং এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে সড়কে পড়ে যান। যুবককে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে একজন পথচারী পুলিশি সাহায্য চেয়ে ফোন দেন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ। এরপর পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাজধানীর কাওরান বাজার এলাকায়।
[৩] পুলিশ পরিচালিত ৯৯৯ এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, বুধবার বেলা ৩ টায় কাওরান বাজার থেকে ৯৯৯ এ একজন কলার ফোন করে জানান, কাওরান বাজারে রাস্তার পাশে এক যুবক অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। তিনি জরুরি পুলিশি সহায়তার জন্য অনুরোধ করেন।
[৪] ৯৯৯ তাৎক্ষণিক কলারের সঙ্গে তেজগাঁও থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেয়। খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে রওনা দেয়।
[৫] তেজগাঁও থানার এসআই গফুর ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাস্তার পাশে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকা যুবককে উদ্ধার করে। পরে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় যুবকের মাথায় পানি ঢালেন এবং সেবা শুশ্রুষা করেন। এক পর্যায়ে যুবকের জ্ঞান ফিরে আসে। তখন তার কাছে থেকে ফোন নম্বর নিয়ে কেরানীগঞ্জে অবস্থানরত তার বাবাকে খবর দেয়া হয়।
[৬] উদ্ধার হওয়া যুবক জানিয়েছেন, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। করোনাকালীন পরিস্থিতে তার প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে কর্মচ্যুত করা হয়। একারণে তিনি অর্থ কষ্টে ভুগছিলেন এবং মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। এজন্য কয়েকটি ঘুমের ওষুধ সেবন করে বুধবার নতুন কোনো চাকরির খোঁজে বের হয়ে এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। চাকরি চলে যাওয়ার বিষয়টি তার পরিবার জানতো এবং ঘটনার দিন তার বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী থেকে কেরানীগঞ্জে যুবকের বাসায় আসেন।
[৭] এরপর যুবক ও তার বাবাকে থানায় নেয়া হয়। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে যুবককে তার বাবার কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তাদের কাছে পটুয়াখালী যাওয়ার মতো টাকা ছিলোনা। পরে পুলিশ সদস্যরা মিলে টাকা সংগ্রহ করে তাদের যাওয়ার খরচ দেন।
