জাহিদুল ইসলাম : নার্সের ভুল চিকিৎসার শিকার গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নীর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অভিযুক্ত নার্স ও ডাক্তারের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে চার দফা দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা চার দফা ও বিভিন্ন প্লেকার্ড ব্যবহার অভিযুক্ত ডাক্তার ও নার্সের শাস্তি দাবি জানান।
চার দফা দাবি গুলো হলো: দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্স ভুল চিকিৎসা প্রদান করায় তাদেরকে আজীবন চাকরীচ্যুত করতে হবে। মুন্নীর চিকিৎসা বাবদ সমস্ত ব্যয়ভার ও ক্ষতিপূরণ হাসপাতাল কতৃপক্ষ কে বহন করতে হবে। অভিযুক্ত যে ডাক্তার বলেছিল এরকম ঘটনা ঘটতেই পারে সে ডাক্তার কে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে। পরবর্তীতে এরকম ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সেজন্য যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ভুল করে এনেসথেসিয়া ইনজেকশন প্রয়োগ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নী অজ্ঞান হয়ে পরে।
পরে তাকে খুলনার শহিদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে প্রায় ৩০ ঘণ্টা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখার পর তাকে বুধবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মুন্নীর বড়ভাই বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিউতে প্রায় ৫০ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও জ্ঞান ফেরেনি তার, চিকিৎসকরা বলছেন ৭২ ঘন্টার আগে কিছুই বলা যাবেনা।
প্রসঙ্গত, এই ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানায় শিক্ষার্থীর চাচা জাকির হোসেন বাদী হয়ে দুইজন নার্স ও একজন চিকিৎসকের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :