শিরোনাম
◈ বড় সুখবর দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদনকারীদের জন্য ◈ টি-টোয়েন্টি সি‌রিজ খেল‌তে পাকিস্তানে যাচ্ছে বাংলাদেশ ◈ আমার স্বামী চায় আমি খোলামেলা জামা পরি: মডেল পিয়া বিপাশা ◈ বিচারকাজে বাধা ও হুমকি: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ◈ ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ঘর হস্তান্তর: সেনাবাহিনীর দক্ষতায় অর্ধেক খরচে সফল বাস্তবায়ন ◈ সংশোধন হচ্ছে আইন: সরকারি কর্মচারীকে তদন্ত ছাড়া আট দিনে চাকরিচ্যুত করা যাবে ◈ মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় হাসিনা সরকারের সাত মন্ত্রী এমপি’সহ আরো যারা আছেন ◈ বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল ◈ চীন-পাকিস্তানকে মাথায় রেখেই কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত? ◈ রেফারির গা‌য়ে বরফ ছুঁ‌ড়ে মারায় ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ হ‌লেন ‌রিয়াল ফুটবলার রুডিগার

প্রকাশিত : ০৯ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৫৭ দুপুর
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিগারেটের শেষাংশ জমিয়ে শত কোটি টাকার মালিক ! (ভিডিও)

২০১৮ সালে দুই ভাই নমেন গুপ্ত ও ভিপুল গুপ্ত সিগারেটের বাঁট রিসাইকেল করার চিন্তা শুরু করেন। সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করেন। শুরুতে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকলেও বর্তমানে তাঁদের এ উদ্যোগ বড় রূপ নিয়েছে। রীতিমতো এ জন্য কারখানাও গড়ে তুলেছেন দুই ভাই মিলে। আর তাঁদের এ উদ্যোগ প্রশংসিতও হচ্ছে বিভিন্ন মহলে।

ভারতের ফেলে দেওয়া সিগারেটের বাঁট দিয়ে খেলনা, বালিশসহ বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করে প্রশংসিত হচ্ছেন দুই তরুণ উদ্যোক্তা। এ জন্য দুই তরুণ মিলে গড়ে তুলেছেন কোড ইফোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামের এক কোম্পানি, যেটির কারখানা ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির উপকণ্ঠে নয়ডা শহরতলিতে। কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা বলছেন, এই কাজের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি তাঁরা পরিবেশ সুরক্ষায়ও কাজ করছেন। খবর এনডিটিভি ও আনাদুলু এজেন্সির

উদ্যোক্তা নমেন গুপ্ত বলেন, ‘আমরা শুরুটা করেছিলাম দিনে ১০ গ্রাম তুলা (ফাইবার) দিয়ে। এখন দৈনিক ১ হাজার কেজি তুলা সংগ্রহ করছি। এভাবে বছরে আমরা লাখ লাখ সিগারেটের বাঁট রিসাইকেল করছি।’

প্রথমে শহরের বিভিন্ন সড়ক থেকে সিগারেটের স্টাব বা বাঁট সংগ্রহ করেন তাঁরা। এরপর সেটি থেকে ফাইবার বা তুলার অংশটি আলাদা করে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা হয়। এরপর প্রক্রিয়াজাত এই তুলা থেকে তৈরি করা হয় নানা ধরনের পণ্য। কোড ইফোর্টের প্রতিষ্ঠাতা নমেন বলেন, একটি সিগারেটের বাঁটে তিনটি উপাদান থাকে—ফাইবার, কাগজ ও তামাক। আমরা এই তিনটি অংশকেই পুনর্ব্যবহার করছি। এখন পর্যন্ত রাস্তা থেকে ৩০ কোটির বেশি সিগারেটের বাঁট সংগ্রহ করে তা প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে। এসব বাঁট দিয়ে নরম খেলনা, বালিশ, বিভিন্ন স্টেশনারি পণ্য ও বাড়ির সাজসজ্জার সামগ্রীসহ বেশ কয়েকটি পণ্য বানান তাঁরা।

এ ছাড়া সিগারেটের বাঁটের বাইরের কাগজের স্তর ও উচ্ছিষ্ট তামাককেও আলাদা করে পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা হয়। পরে এগুলো পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা হয় কাগজ ও কম্পোস্ট পাউডার। এ ছাড়া সম্প্রতি ডায়েরি, নোটপ্যাড, খাম ইত্যাদি বানানো শুরু করেছেন তাঁরা। ২০২৬ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০০ কোটি সিগারেটের বাঁট পুনর্ব্যবহার করার লক্ষ্যে কাজ করছেন নমেন গুপ্ত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, তাদের অনুমানে ভারতের ৩০ শতাংশ বা প্রায় ২৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করে। তাতে প্রতিদিনই কয়েক কোটি সিগারেটের বাঁট রাস্তায় ফেলা হয়। এতে রাস্তা ময়লা হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশদূষণও হচ্ছে। সেই দূষণ কমাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে দুই ভাইয়ের উদ্যোগ।

নমেন গুপ্ত বলেন, ‘রাস্তায় ফেলে রাখা সিগারেটের বাঁটগুলো পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখছি। পাশাপাশি বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষকে সিগারেট ছেড়ে দিতেও উদ্বুদ্ধ করছি।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়