শিরোনাম
◈ সংসদ নির্বাচনে তোড়জোড়, প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহ শুরু ◈ যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এখনও চূড়ান্ত নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশা: অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন ◈ চিলমারীতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, পুলিশি টহল জোরদার ◈ "টিকিট চাইতেই ক্ষুব্ধ বখাটেরা: আরডিএ পার্কে আনসার সদস্যকে বেধড়ক মারধর" ◈ টাঙ্গাইলে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে টাকা লুটের অভিযোগ, ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ৭১টি শিক্ষক পদ শূন্য: শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ ◈ ফরিদপুরে গরু চুরির আতঙ্কে সালথা উপজেলা বাসী! ◈ চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, পাহাড়ধসের শঙ্কা ◈ টিটিসি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছেন অভিযুক্তরা ◈ সরিষাবাড়ীতে চরাঞ্চলে মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন : ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২৫, ১১:০২ দুপুর
আপডেট : ০৮ জুলাই, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

এক রাতে সাত হাজার নিরীহ মানুষ নিধন! পাক সেনাপ্রধান টিক্কা খানকে  বাংলাদেশের কসাই নামে ডাকা হ‌তো

এল আর বাদল : ইতিহাসে এমন অনেক শাসক রয়েছেন যাদের নাম শুনলেই যে কারও মেরুদণ্ড বেয়ে শীতল স্রোত নেমে যায়। এর মধ্যে রয়েছেন চেঙ্গিজ খান, হালাকু, তৈমুরলং, হিটলারের মতো অনেক নাম। কিন্তু বিশ্ব ইতিহাসে এমন একজন ব্যক্তি রয়েছেন যিনি এক রাতে সাত হাজার মানুষকে নিধন করেছিলেন। তাঁর কর্মকাণ্ডের কারণে তাঁকে 'বুচার অফ বাংলাদেশ' বলা হত।

তাঁর নাম টিক্কা খান। যিনি পাকিস্তান সেনার জেনারেল এবং প্রথম সেনাপ্রধানও ছিলেন। টিক্কা খানের জন্ম ১৯১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে। টিক্কা ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। দেশভাগের পর পাকিস্তানে চলে যান এবং সে দেশের সেনার মেজর হন। -- ই‌ন্ডিয়াহুড/ নিউজ১৮

১৯৬৯ সালে ইয়াহা খান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর টিক্কাকে পাঠানো পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ)-এ। সেখানে তাঁর দায়িত্ব ছিল পৃথক দেশের দাবি এবং যে বিদ্রোহের উত্থান হচ্ছিল তা দমন করা। এখানে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই টিক্কা সামরিক অভিযান শুরু করেন। যার নাম দেওয়া হয় 'অপারেশন সার্চলাইট'।

বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদ্রোহ দমনের করতে গিয়ে এক রাতে ঢাকায় সাত হাজার মানুষকে হত্যা করেছিলেন টিক্কা। এর মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ এবং মহিলাও ছিল। এই ঘটনার পর টাইম ম্যাগাজিন টিক্কা খানকে 'বুচার অফ বাংলাদেশ' বা 'বাংলাদেশের কসাই' বলে অভিহিত করে।

রবার্ট পাইন বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে একটি বইও লিখেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে বর্বরতার চরম সীমা অতিক্রম করেছিল। মাত্র নয় মাসে দু'লক্ষ নারী ও মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।

হাজারও অভিযোগ এবং বিশ্বজুড়ে নিন্দা সত্ত্বেও, পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে টিক্কা খানের মর্যাদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বেশ কয়েকবার পদোন্নতি হয় তাঁর। ১৯৭২ সালের ৩ মার্চ তাঁকে পাকিস্তানের প্রথম সেনাপ্রধান করা হয়। ২০০২ সালে ২০ মার্চ মারা যান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়