কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে উপহার হিসেবে মিষ্টির পরিবর্তে কার্টুন ভরে ইট ও মাটির গুঁড়া পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে জামাই মোকছেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত বুধবার কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাজাইকাটা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। তবে বিষয়টি জানাজানি হলে সাম্প্রীতিক এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের বড় ধনতলা এলাকার সাহেব আলী ওরফে সব্দুল হকের ছেলে মোকছেদুল ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কাজাইকাটা এলাকার আফতার আলীর মেয়ে আছমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের ঘরে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়।
সন্তান জন্মের খবর পেয়ে স্বামী মোকছেদুল ইসলাম শ্বশুরবাড়িতে যান। এ সময় শাশুড়ির হাতে একটি মিষ্টির কার্টুন ধরিয়ে দেন। পরে মিষ্টিমুখ করার জন্য শাশুড়ি কার্টুন খুলে দেখতে পান সেখানে কোনো মিষ্টি নেই, আছে ইটের গুঁড়া।
স্ত্রী আছমা আক্তার বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে আমার স্বামী আমাকে নির্যাতন করতেন। মাঝেমধ্যে আমার পরিবারের কাছে টাকা চাইতেন। আমরা গরিব মানুষ, তাই টাকা দিতে পারিনি। এদিকে আমার গর্ভে সন্তান এসেছে, এ খবর জানার পর আরও বেশি নির্যাতন করতেন। তিনি বলতেন, ছেলে হলে সুখ পাবে, আর মেয়ে হলে দুঃখ পাবে।’
এ বিষয়ে মোকছেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কন্যাসন্তান জন্ম হওয়ার কথা শুনে আনন্দে শ্বশুরবাড়িতে এক কেজি মিষ্টি ও মেয়ের পোশাক নিয়ে যাই। এখন শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিষ্টির কার্টুনে নাকি ইটের গুঁড়া দেখেছে। এগুলো সব সাজানো।’
স্ত্রীকে নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে কখনো কোনো নির্যাতন করিনি। যারা এসব করাচ্ছে, আল্লাহ তাদের বিচার করবেন।’
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আবু সাঈদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে জানা যাবে আসলে কী ঘটেছিল।’ উৎস: দৈনিক আমাদের সময়।