শিরোনাম
◈ "টিকিট চাইতেই ক্ষুব্ধ বখাটেরা: আরডিএ পার্কে আনসার সদস্যকে বেধড়ক মারধর" ◈ টাঙ্গাইলে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে টাকা লুটের অভিযোগ, ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ৭১টি শিক্ষক পদ শূন্য: শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ ◈ ফরিদপুরে গরু চুরির আতঙ্কে সালথা উপজেলা বাসী! ◈ চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, পাহাড়ধসের শঙ্কা ◈ টিটিসি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছেন অভিযুক্তরা ◈ সরিষাবাড়ীতে চরাঞ্চলে মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন : ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক ◈ বন্ধ হচ্ছে শিল্প-কারখানা, স্থবির ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ  ◈ দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৫৭ লাখ ◈ সা‌কিব বল‌লেন আমার বেস্ট‌ফ্রেন্ড নেই,  তামিম ও মুশফিক ভালো বন্ধু

প্রকাশিত : ১৬ জুন, ২০২৫, ০৮:৫৩ রাত
আপডেট : ০৮ জুলাই, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঝিনাইদহে সেনা ক্যাম্পের নির্দেশ উপেক্ষা করে চলছে অবৈধ দোকান

ফিরোজ আহম্মেদ,  ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ শহরের শেরে বাংলা সড়কে দোকান হস্তান্তর নিয়ে ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে আদালত ও সেনাবাহিনীর আদেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ভবনের বর্তমান মালিক একেএম মাসুদুল আলম লিপনের কাছে দোকানঘর হস্তান্তর করতে দীর্ঘদিন ধরে তালবাহানা করছেন ভাড়াটিয়া কাজী দাউদ হোসেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একেএম নুরুল আলম তার মালিকানাধীন জমিতে একটি ভবন নির্মাণ করেন এবং তাতে তিনটি দোকানঘর স্থাপন করে তা ভাড়া দেন কাজী দাউদ হোসেনকে। সেখানে তিনি ‘জাকির হার্ডওয়ার’ নামে ব্যবসা চালু করেন। ২০০১ সালে একেএম নুরুল আলমের মৃত্যু হলে তার ছেলে একেএম মাসুদুল আলম লিপন ওয়ারিশ সূত্রে ভবনটির মালিক হন।

পরবর্তীতে মালিক লিপন দোকানঘর হস্তান্তরের জন্য দাউদ হোসেনকে একাধিকবার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি নানা অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যান। অভিযোগে আরও বলা হয়, দাউদ হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর নাম ব্যবহার করে মালিককে ভয়ভীতি দেখান। উপায় না দেখে মাসুদুল আলম ২০২৪ সালের ৪ এপ্রিল আদালতের মাধ্যমে একটি উকিল নোটিশ পাঠান, যা দাউদ হোসেন উপেক্ষা করেন। পরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ৫ আগস্ট তিনি স্থানীয় সেনা ক্যাম্প এবং জেলা দোকান মালিক সমিতিকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান।

সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা, দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং জাকির হার্ডওয়ারের মালিক দাউদ হোসেনকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ১২ জুনের মধ্যে দোকানটি মালিক মাসুদুল আলমের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।

তবে মালিকের দাবি, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও দাউদ হোসেন দোকান হস্তান্তর করেননি। এ প্রসঙ্গে একেএম মাসুদুল আলম লিপন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে কাজী দাউদ ও তার লোকজন দোকান হস্তান্তরে তালবাহানা করছে। এমনকি সেনা ক্যাম্পের নির্ধারিত সময়সীমাও উপেক্ষা করেছে। আমি শুধু আমার বৈধ মালিকানা ফিরিয়ে পেতে চাই।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার দাউদ হোসেনের মোবাইল নম্বরে কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে তার ছেলে আজিজুল ইসলাম জানান, “এটা আমাদের বহু বছরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চাইলেই তো হঠাৎ করে ছেড়ে দেওয়া যায় না।” জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান মিঠু বলেন, “সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তারা কাগজপত্র যাচাই করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্ত কাজী দাউদ ভাইয়ের মেনে নেওয়া উচিত। না হলে সেটি সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্ত অমান্য করার শামিল হবে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়