স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর ১৮টি ইভেন্ট হয়েছে, ৬ আন্তর্জাতিক আসরে পাঁচটিতে সাফল্য এসেছে। প্রথম অর্জন ছিল এশিয়ান নারী চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো পদক জয়।
প্রথমবারের মতো আমরা যুব এশিয়ান গেমসের বালক ও বালিকা বিভাগে পদক জিতেছি। প্রথমবারের মতো পদক জিতেছি নারী বিশ্বকাপেও। তার বাইরে পুরুষ দল নেপালের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে। নারী দল নেপালের কাছে ৩-২ ব্যবধানে অ্যাওয়ে সিরিজ হেরেছে।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, কাবাডি ফেডারেশনের নতুন কমিটির চ্যালেঞ্জ ছিল—একটা অবস্থান তৈরি করার চ্যালেঞ্জ। আগেও বলেছি, বাংলাদেশের মেয়েরা ভালো খেলছে, ভালো খেলবে—এটা সম্ভাবনার জায়গা।
আজকে সেমিফাইনালে উঠে বাংলাদেশ ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করেছে। এটা আমরা অর্জন করেছি। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ পঞ্চম স্থানে ছিল। আজকে সেরা চারে ফিরে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বকাপেই কিন্তু এ অবস্থান থেকে উন্নতি করার সুযোগ আছে। এই অর্জনে সকলের অবদান আছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন সংশ্লিষ্ট সকলে এবং আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনও সহায়তা করেছে।
বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছি। এ আয়োজনকে পূর্ণতা দিয়েছে নারী দল—দারুণ খেলা উপহার দিয়ে পদক জয়ের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কাবাডি সম্ভাবনার জায়গা—এটা আমি সবসময় বলে আসছি। আজকে সেটা নতুন করে প্রমাণ করতে পেরেছি আমরা। আজ আমি আনন্দিত। এমন সহযোগিতা সকলের কাছ থেকে চাই। সকলে যদি এভাবে পাশে থাকেন, তাহলে বাংলাদেশের কাবাডি আরও এগিয়ে যাবে।
কাবাডি খেলাটাই চাপের। প্রতি মিনিটে চিত্র পাল্টে যায়। আপনি দেখেন—একবার বাংলাদেশের লিড, আবার থাইল্যান্ড লিড নিয়েছিল।
সোহাগ বলেন, এই যে পরিবর্তন আসছে; একটা দল যদি ভুল করে, ফলাফলে তার প্রভাব পড়বে। সেটা বাংলাদেশ কিংবা থাইল্যান্ড—যেই হোক না কেন। এই পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ ৯ পয়েন্টের ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছে। এখানে যারা এসেছেন, আমি তাদের আতিথেয়তা নিশ্চিত করেছি। ম্যাচের শুরুর দিন থেকে মানসিক চাপ তো ছিলই। চাপটা এখন মুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। একটা অবস্থান তৈরি হয়েছে।
আমাদের আগে বিশ্বকাপে পদক ছিল না, আজ হয়েছে—এটা বড় অর্জন। এখন কাজের শেষ নেই। আমার টার্গেট এশিয়ান গেমস। ২০২৬ এশিয়ান গেমস পর্যন্ত ক্যাম্প চলবে। প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। দীর্ঘদিন পর আমরা প্রথমবারের মতো সেরা চার র্যাংকিংয়ে এসেছি। সূত্র, বি কে এফ