স্পোর্টস ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা আর বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার মারুফা, নাম দুটোর মধ্যে দারুণ একটা মিল রয়েছে! মাঠে দুজনের খেলায়ও মিল—তোপ দাগানো। লাসিথ মালিঙ্গ ক্রিকেট ছেড়ে এখন কোচিং পেশায়। তবে মারুফা আক্তার কেবল ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। বয়সভিত্তিক থেকে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেরও শুরুটা রীতিমতো হইচই ফেলে দেওয়ার মতো। গতকাল থেকে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে একটি ‘চমক জাগানো’ ডেলিভারি ভেসে বেড়াচ্ছে। --- টি-স্পোর্টস
আইসিসির ফেসবুক থেকে করা পোস্টে দেখা যায়, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচে দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে পাকিস্তানের ওপেনার সিদরা আমিনকে বোল্ড করেন মারুফা। বলের ঠিকঠাক লাইন বুঝতে পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটার। তীক্ষ্ণ মুভমেন্ট নিয়ে বল স্টাম্পের লালবাতি জ্বালিয়ে দেয়। অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছু করার ছিল না সিদরার।
সেই ডেলিভারি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে নজর কেড়েছে ভক্ত-সমর্থকদের। পাশাপাশি মারুফা প্রশংসা কুড়াচ্ছেন কিংবদন্তিদের কাছ থেকেও। শ্রীলঙ্কার সাবেক ফাস্ট বোলিং কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গা, মারুফার এই দক্ষতাকে দ্রুত স্বীকৃতি দিয়েছেন তাঁর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে। লিখেছেন, ‘খাঁটি দক্ষতা। চমৎকার নিয়ন্ত্রণ। এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের সেরা ডেলিভারি।’ মালিঙ্গার প্রশংসা পেয়ে পরে মারুফা রিপ্লাইও দিয়েছেন, ‘ধন্যবাদ কিংবদন্তি।
অনেকেই ইতিমধ্যে মারুফার ডেলিভারিকে বিশ্বকাপের ‘বল অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ হিসেবে মনে করছেন। মালিঙ্গা ছাড়াও ভারতের সাবেক অধিনায়ক মিতালি রাজও মারুফার নিখুঁত এবং ধৈর্যের প্রশংসা করেছেন, ‘তার অনেক সুইং আছে।
সে সঠিক লাইন ও দৈর্ঘ্যে বল করেছে। সুইং পাওয়া ভালো, কিন্তু যদি সঠিক লাইন ও লেংথে না বল করা হয়, তাহলে ফলাফল পাবেন না। মারুফা অবশ্যই তার এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেটের মাধ্যমে সঠিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রথম ওভারে দুইটি বড় উইকেট—এটি তার হ্যাটট্রিকের কাছাকাছি ছিল। যদিও এটি তার প্রথম বিশ্বকাপ, তবে সে আগে টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে।
মিতালি আরও বলেন, ‘আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাকে দেখেছি এবং তার গতি ও ডেলিভারি দেখে খুবই মুগ্ধ হয়েছিলাম। আজ (গতকাল) প্রথম ওভারে যে শুরু দেখলাম, তা যেকোনো ফাস্ট বোলারের জন্য আদর্শ। দলেই একমাত্র ফাস্ট বোলার হিসেবে এই দুইটি বড় উইকেট—বাংলাদেশের জন্য অসাধারণ মুহূর্ত!’
পাকিস্তানরে বিপক্ষে জয়ের পর মারুফা নিজের সাফল্যের ব্যাখ্যা বলেন, ‘আমি জানি আমি সুইং পাই, তাই আমি আমার লাইন এবং লেংথ ঠিক রাখার দিকে মনোযোগ দিই। জ্যোতি আপু (ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা জ্যোতি) আমাকে এই পরিকল্পনায় স্থির থাকতে বলেছেন। আমি চাপ অনুভব করি না। এমনকি যদি বাউন্ডারি হজম করি, আমার সতীর্থরা সব সময় আমাকে সমর্থন করে।