স্পোর্টস ডেস্ক : মাহমুদুল হাসান জয় নয় ছক্কার চমৎকার সেঞ্চুরিতে দলকে রেকর্ড সংগ্রহ এনে দিলেন। পরে বল হাতে দায়িত্ব নিলেন মোহাম্মদ রুবেল। তার ঘূর্ণিতে অল্পেই গুটিয়ে গেল সিলেট বিভাগ। রেকর্ড ব্যবধানে জয় পেল চট্টগ্রাম বিভাগ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে রোববারের প্রথম ম্যাচে সিলেটকে ৯৯ রানে হারায় চট্টগ্রাম। টুর্নামেন্টের দুই আসর মিলিয়ে এটিই যে কোনো দলের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। ঠিক আগের ম্যাচেই বরিশালকে ৯৬ রানে হারিয়েছিল ঢাকা মেট্রো। টি-স্পোর্টস
ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২১৪ রানের পুঁজি দাঁড় করায় চট্টগ্রাম। জয়ের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ বলে ১১০ রানের ইনিংস। পরে রুবেল মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেট নিলে জয়কে টপকে ১১৫ রানে অল আউট হয়ে যায় সিলেট।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মুমিনুল হকের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৩ রান যোগ করেন জয়। ১৯ বলে ৩২ রান করে আউট হন মুমিনুল। পরে টিকতে পারেননি শাহাদাত হোসেন দীপু। ৪ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হন তরুণ ব্যাটার।
চার নম্বরে নেমে সাদিকুর রহমানও তেমন কিছু করতে পারেননি। দশম ওভারে ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে জুটি বাধেন জয়। সেখান থেকেই চট্টগ্রামের তাণ্ডবের শুরু। দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাত্র ৫৭ বলে আসে ১২২ রান।
৪০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ফিফটি করেন জয়। এরপর টর্নেডো বইয়ে দেন সিলেটের বোলারদের ওপর। মাত্র ১৯ বলে পরের পঞ্চাশ করেন তিনি। সব মিলিয়ে শেষের ২৩ বলে ২ চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা মেরে ৬০ রান নেন ২৪ বছর বয়সী ওপেনার।
জয়ের মতো শেষ ওভারে আউট হন শুক্কুর। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার খেলেন ৪ চার ও ২ ছক্কায় ২২ বলে ৪১ রানের ইনিংস।
সব মিলিয়ে ১৫টি ছক্কা মারেন চট্টগ্রাম। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে এটিই ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। চলতি আসরে সিলেটের বিপক্ষেই রাজশাহীও মেরেছিল ১৫টি ছক্কা।
সিলেটের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তোফায়েল আহমেদ। তবে ৩ ওভারে ৩৭ রান খরচ করেন তিনি।
রান তাড়ায় একদমই লড়াই করতে পারেনি সিলেট। ওপেনার অমিত হাসান ২৫ বলে ৪০ রান ছাড়া আর কেউ তেমন কিছুই করতে পারেননি।
৯ নম্বরে নেমে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে দলের পরাজয়ের ব্যবধান কমান আবু জায়েদ চৌধুরি রাহি।
মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেট নেন এই আসর দিয়েই স্বীকৃত ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করা রুবেল। ৫ ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়ে তিনিই এখন সবার ওপরে। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন হাসান মুরাদ ও আহমেদ শরীফ।