স্পোর্টস ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিভাগ এনসিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তোলে বরিশাল। লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাফ-সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটের জয় পায় চট্টগ্রাম।
এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে ৩টিতেই জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। অন্যদিকে টেবিলের একেবারে তলানিতে অবস্থান বরিশালের।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৩ রান জমা করে চট্টগ্রাম। ৩.৩ ওভারের মধ্যেই ঝড়ো শুরু করে ফিরে যান ওপেনিংয়ে নামা মুমিনুল হক। ১১ বলে ২২ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটারকে বোল্ড করে ফেরান গাজী।
স্কোরবোর্ডে ৬৬ রান জমা হতেই সাজঘরে ফেরেন শাহাদাত হোসেন দিপু। ১২ বলে ১০ রান করা দিপুকে বোল্ড করেন তানভির ইসলাম। তারপর আর কোনো উইকেট হারায়নি চট্টগ্রাম।
এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে জয়ের পথেই রাখেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৬ চার এবং ৫ ছক্কায় ৪৮ বলে অপরাজিত ৭৮ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটার। ২৮ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন সৈকত আলী। ২১ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের জয় পায় চট্টগ্রাম।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বরিশাল। তবে ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই ফিরে যান ওপেনার রাফসান আল মাহমুদ। মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ৮ রান।
এরপর দলের হাল ধরেন ইফতিখার হোসেন ইফতি। ২৬ বলে ৩৩ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার একটু পরই বিদায় নেন সালমান হোসেন ইমনও। ১২ বলে ৬ রান করা এই ব্যাটারকে বোল্ড আউট করেন হাসান মুরাদ।
ফজলে মাহমুদ রাব্বিও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ২৯ বলে ২৬ রান করে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান যোগ করার পর ৯৭ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় বরিশাল। শেষ দিকে ১৪ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন সোহাগ গাজী। চট্টগ্রামের হয়ে ২২ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন রানা। এছাড়া ২ উইকেট নেন মুরাদ।