আট ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোলপ্লাজার সামনের যানজট কিছুটা কমলেও সাইনবোর্ড থেকে মদনপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলাকায় এখনো তীব্র যানজট রয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ যানজট রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
যাত্রীরা জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাড়ি চলাচল প্রায় অচল হয়ে যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সাধারণত ১৫ মিনিটে যে পথ অতিক্রম করা যায়, সেটুকু পার হতে এখন ২-৩ ঘণ্টা লাগছে।
ঢাকা থেকে ফেনীগামী যাত্রী মোহন দাশ বলেন, দুপুর ১২টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছি। দুপুর ২টায় ফেনীর উদ্দেশে গাড়ি ছাড়ে, কিন্তু এখনও কাঁচপুর পার হতে পারিনি। বাসে বয়স্ক মানুষ আর শিশুদের কষ্টের সীমা নেই।
হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, দুর্গাপূজার ছুটি, বৈরী আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে এ যানজট তৈরি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা কাজ করছেন।
বাস কাউন্টারের ব্যবস্থাপকরা বলছেন, যাত্রীদের চাপ থাকলেও যানজটের কারণে নির্ধারিত সময়ে বাস ছাড়তে পারছে না। এতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। একাধিক পরিবহনের সুপারভাইজার জানান, ঘনঘন গাড়ি আটকে পড়ায় সময়মতো কোনো বাস গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না।
পণ্যবাহী গাড়ির চালকেরা অভিযোগ করে বলেন, নিত্যপণ্যের গাড়িও আটকে থাকায় ব্যবসায়ীরা নিশ্চিতভাবেই ক্ষতির মুখে পড়বেন। অনেক পণ্য গাড়িতেই নষ্ট হবে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, আমরা সকাল থেকেই মহাসড়কে কাজ করছি। গাড়ির চাপ অনেক বেশি। লাঙ্গলবন্দ এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখায় মদনপুর থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত যানজট কিছুটা কমেছে। সূত্র: ঢাকা পোস্ট