ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেন থেকে ১০ লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। ইতিমধ্যে বিদেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের করা সমীক্ষা প্রতিবেদন জমা পড়েছে। এখন শুধু প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষা।
আগামী কয়েক দশকের যানবাহনের চাপ সামলাতে মহাসড়কটির দুই পাশে দুটি করে সার্ভিস লেন নির্মাণ এবং যানজটপ্রবণ এলাকায় ওভারপাস তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রাজধানী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ যানবাহন চলাচল করে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত এই মহাসড়ক দিয়ে। চালক ও যাত্রীরা মনে করছেন, ১০ লেন হলে সময় বাঁচবে, ভোগান্তি কমবে এবং যানজট অনেকটাই হ্রাস পাবে।
একজন যাত্রী বলেন— “এখন তো আমরা ভোগান্তিতে আছি, ১০ লেন হলে অবশ্যই সবার জন্য ভালো হবে।”
ঢাকা যাত্রাবাড়ি থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত মোট ২৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়ক ২০১৭ সালে চার লেনে উন্নীত করতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। নতুন প্রকল্পে কিছু বাড়িঘর অধিগ্রহণের প্রয়োজন হলেও, সওজ-এর দাবি— নিজেদের বিদ্যমান জমি কাজে লাগিয়ে অপেক্ষাকৃত কম খরচেই ১০ লেন বাস্তবায়ন সম্ভব।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টেকসই রাখতে সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন জরুরি। ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক ১০ লেনে উন্নীত হলে শিল্প, বাণিজ্য ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায়ও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ