ফারুকুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ঢেনু নদী পথে প্রকাশ্যে চলছে মালবাহী নৌযানে চাঁদাবাজি। চাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা ছোটখাটো ট্রলারসহ বড়বড় মালবাহী জাহাজও। প্রতিটি নৌযান থেকে ৫ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নৌযানের চালকদের মারধরসহ মালামাল লুটের ঘটনা ঘটছে অহরহ। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে নৌপথে চাঁদাবাজি হলেও পুলিশ কোনো ভূমিকা রাখছে না বলে অভিযোগ অধিকাংশ ভুক্তভোগীদের।
সরেজমিনে জানাযায় যে এসব নদীপথে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা এলাকার ব্যাবসায়ীর কয়লা, পাথর বালি সহ নানা পন্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, আশুগঞ্জ নিয়ে যায় আবার ঢাকা থেকে বিভিন্ন মালা মাল দেশের বিভিন্ন এলাকায় আনা নেওয়া করে এ নদী পথে। দীর্ঘদিন যাবত শিমুল বাগ, নওগাঁ, বালিখলা চাঁদাবাজির খবর শুনা যায়। দাবি কৃত টাকা না দিলে চাঁদাবাজদের হামলা ও লুটপাটের শিকার হতে হচ্ছে এসব নৌযান চালকেরা।
এছাড়া নৌ পথ দিয়ে আসা বাশ, বালু, পাথরসহ বিভিন্ন মালবাহী ট্রলার আটকিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। ঢাকার নিউ সান ওয়ান নৌযান চালক নামপ্রকাশ নাকরার শর্তে জানান বালিখলা, নওগাঁও এলাকার কয়েকজন সন্ত্রাসী তার বাহিনী দিয়ে প্রতিনিয়ত নৌযান আটক করে টাকা আদায় করছে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার বাহিনীর লোকজন লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তারা হলো মোঃ শাহিন মিয়া, জালাল মিয়া, নুরু মিয়া, জুবায়ের প্রমুখ। এ বিষয়ে বালিখলা নৌ পুলিশের ইনচার্জ সিকান্দারের সাথে নদী চাঁদাবাজি নিয়ে কথা হলে তিনি জানান আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আসলে এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।