শিরোনাম
◈ নির্বাচনের আগেও নয়, ভবিষ্যতেও আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা উঠছে না: আসিফ নজরুল ◈ ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক লাইফ সাপোর্টে ◈ দুবাই শেখ সেক্স পার্টনার খুঁজছেন, তোমার কি কোনো ভালো বন্ধু আছে? চাঞ্চল্যকর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস ◈ ডোনাল্ড ট্রাম্প হ‌বেন গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ◈ ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য কারাগারই সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা :  কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ◈ ‌নেপা‌লের কা‌ছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ বেশকিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ◈ টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি ক্রিকেট লি‌গে বরিশালকে সহজেই হারালো চট্টগ্রাম ◈ আমি এবং আমার দল বিএনপি বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার: তারেক রহমান ◈ জাপায় ফের অস্থিরতা, প্রতীকের দাবি নিয়ে আবারও লড়াই ◈ প্রথমবার দ্বিপা‌ক্ষিক সি‌রিজ খে‌লে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ কর‌লো নেপাল 

প্রকাশিত : ০১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৫৩ রাত
আপডেট : ০২ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বেনাপোল সীমান্তের শুণ্য রেখায় বাবাকে শেষ দেখা মেয়ের

আইরিন হক, বেনাপোল (যশোর): যশোরের বেনাপোল সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো ভারতীয় আত্মীয়দের লাশ দেখার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশি স্বজনরা।

বুধবার (১ অক্টোবর) বিকালে যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) ও ভারতের ৬৭ বিএসএফের উদ্যোগে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এ সুযোগ দেওয়া হয়।

ঘটনাটি ঘটে যশোর ব্যাটালিয়নের ধান্যখোলা কোম্পানি দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মেইন পিলার-২৫/৬-এস সংলগ্ন ধান্যখোলা সীমান্তে।

জানা যায়, ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার বাশঘাটা গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক অঞ্চল প্রধান জব্বার মন্ডল (৭৪) বার্ধক্যজনিত কারণে গতকাল মঙ্গলবার মারা যান। জব্বার মন্ডলের মেয় মিতু মন্ডলের  বিবাহ সুত্রে বসবাস যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পৌরসভার পাঠবাড়ি গ্রামে। 

মৃত্যুর পর বাংলাদেশে থাকা মেয়ে শেষবারের মতো লাশ দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করলে বিজিবি এ বিষয়ে বিএসএফের  সঙ্গে যোগাযোগ করে।

পরে উভয় পক্ষের সমন্বয়ে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক শেষে সীমান্তের শূন্যরেখায় লাশ স্বজনদের দেখানো হয়। এসময় উপস্থিত আত্মীয়রা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। পরে মরদেহ ভারতে দাফনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আত্মীয়রা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

পতাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির পক্ষে ধান্যখোলা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সেলিম মিয়াসহ  ৫ জন বিজিবি সদস্য অপরদিকে  বিএসএফের পক্ষে এ.সি. সঞ্জয় কুমার রায়, কোম্পানি কমান্ডার (সি কোম্পানি, মোস্তফাপুর, ৬৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন) এবং তার সঙ্গে আরও ৫ জন সদস্য।

বিজিবি সূত্র জানায়, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সীমান্তে দায়িত্ব পালন শুধু নিরাপত্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, মানবিক প্রয়োজনে উভয় পক্ষ সবসময় সমন্বিতভাবে কাজ করে।

স্থানীয়রা বিজিবি ও বিএসএফের এই পদক্ষেপ সৌহাদ্য,সম্পৃতি ও  মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়