শীতে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এই সময় খাবারের তালিকায় এমন সব খাবার যোগ করা উচিত যা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শীতের দিনে গুড়ের বেশ চাহিদা থাকে। নানা ধরনের পিঠা পুলি তৈরি হয় গুড় দিয়ে। এই সময় নিয়মিত গুড় খেলে যেসব উপকারিতা মেলে-
মন মেজাজ ভালো রাখে
খেজুরের গুড় মন মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত গুড় খাওয়া মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
সর্দি-কাশি দূর করে
খেজুরের গুড় শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণ রাখে। এর ফলে সর্দি-কাশির সমস্যা কমে। কফ দূর করতেও খেজুরের গুড় খুবই সহায়ক। এটি গরম দুধে মিশিয়ে অথবা এর ক্বাথ তৈরি করে খেতে পারেন।
অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে
শীতকালে যারা অস্থিসন্ধির ব্যথায় ভোগেন, তারা প্রতিদিন খেজুর এবং গুড়ের সাথে আদা খান। এতে জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও, আদার সঙ্গে গরম গুড় মিশিয়ে গরম করে খেলে গলা ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। এটি কণ্ঠস্বর পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।
ডায়াবেটিসের জন্য উপকারিতা
খেজুরের গুড় স্বাদে মিষ্টি হতে পারে, কিন্তু এতে কোলেস্টেরল থাকে না। এতে চর্বির পরিমাণও কম থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরাও এই গুড় খেতে পারেন।
শক্তিতে ভরপুর
খুব বেশি ক্লান্ত বা দুর্বল বোধ করলে খেজুরের গুড় খেতে পারেন। এটি শক্তির মাত্রা বাড়ায় এবং ক্লান্ত বোধ থেকে রক্ষা করে।
সূত্র: সমকাল