আওয়ামী লীগ ঢাকা বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে কারিগরি দিক বিবেচনায় মহাপাপ করে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেছেন, আওয়ামী লীগ মেগা প্রকল্পের কারিগরি ইনপুট প্রদানে কী পরিমাণ মেস করে গেছে, এটা চিন্তার বাইরে। ঢাকা বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনালের কথা বলি। এখন না বললে দায়িত্ব ছাড়ার পরে বললে বলবেন, আগে কেন বলেন নাই!
১। ডিজাইনে টেলিকমের ইনফ্রা প্ল্যান নাই। ইনডোর কভারেজের জন্য দরকারি অবকাঠামো বিবেচনায় ছিল না। ইনডোর বেজ স্টেশন বসানোর, বা ইনডোর রেডিও বসানো, আরবিএস হোটেল-এর স্পেইস টুকু পর্যন্ত ডিজাইনে নাই। অ্যাক্টিভ ডাস, অ্যান্টেনা, মাউন্টিং পোল, রেডিও মাউন্টিং পোল, রাউটার এগুলা বসানোর জন্য কোনো স্পেইস এবং ইনফ্রা রাখা হয়নি ডিজাইনে। এগুলো সব আউট অফ ডিজাইন বসাতে হবে।
২। এমনকি অপটিক্যাল ফাইবার লে করার জন্য কোনো ডাক্ট নাই। আইএসপি সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর রাউটার রুম/সার্ভার রুম ডেসিগ্নেটেড করা নাই। এগুলো এখন বাইরে দিয়ে কিংবা আন ডেসিগ্নেটেড প্লেসমেন্ট করে টানতে হবে।
৩। বিমানবন্দর চালাতে অতি দরকারি একটি ডেটা সেন্টার স্পেইসও ডিজাইনে নাই। কি হাস্যকর, কী লজ্জার কথা! ইমিগ্রেশন সিস্টেমস/ (অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেমস, APIS) /চেক-ইন ডেস্ক পরিচালনার সিস্টেমস সহ বাদবাকি কারিগরি সেটাপের জন্য সফ্টওয়্যার/হার্ডওয়্যার/ফায়ারওয়াল এসব বিষয়ের বিবেচনা টার্মিনাল ডিজাইনে নাই।
৪। ডেটা সেন্টার, বেজ স্টেশন, রাউটার এগুলার জন্য নতুন করে কুলিং/চিলার ডাইমেনশন করা লাগবে।
তিনি আরও লিখেছেন, আমি খুবই হতাশ। বিদেশিদের ধরে এনে এই দেশে যা করা হয়েছে তা বাইরে থেকে চকচকে হলে ভিতরে ফাঁপা। আজকের এই যুগের একটা এয়ারপোর্ট টার্মিনাল- ডেটা সেন্টার এবং ন্যূনতম টেলিকমিউনিকেশন কন্সিডারেশন ছাড়া ডিজাইন ও ইমপ্লিমেন্টেশন হয়ে যেতে পারে এটা আমার কাছে কোনো ব্যাখ্যা নাই। কারিগরি দিক বিবেচনায় এটা একটা মহাপাপ।
পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, কমিউনিকেশন টেকনোলোজি ছাড়া তারা দেখতে সুন্দর একটা বাস টার্মিনাল ভবন বানিয়ে গেছে! সাচ এ ডিসগ্রেইস!
সূত্র: চ্যানেল আই