হাবিবুর রহমান, পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোণার পূর্বধলায় ছাত্রলীগ নেতার বিয়েতে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোকাব্বির হোসেনের বিয়ে উপলক্ষে যখন বাড়িতে উৎসবের আমেজ, তখনই সেখানে উপস্থিত হয়ে এক নারী নিজেকে তাঁর স্ত্রী দাবি করেন।
এই নাটকীয় পরিস্থিতিতে মুহূর্তেই পণ্ড হয়ে যায় বিয়ের সকল আয়োজন।
রবিবার দুপুরে উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের কৌলাটি নয়া পাড়া গ্রামের রুক্কু মিয়ার ছেলে মোকাব্বির যখন বর সেজে কনেকে ঘরে তোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক তখনই ওই নারী সেখানে এসে উপস্থিত হন। তিনি দাবি করেন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই পরিবারের অজ্ঞাতে তাঁদের বিয়ে হয়েছে এবং তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে বসবাসও করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তাঁকে না জানিয়ে মোকাব্বিরের দ্বিতীয় বিয়ের সংবাদ শুনে স্ত্রীর মর্যাদা দাবি নিয়ে তিনি সরাসরি বরের বাড়িতে চলে আসেন।
এই আকস্মিক উপস্থিতিতে বিয়ের পরিবেশ সম্পূর্ণ ওলটপালট হয়ে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বর মোকাব্বির হোসেন দ্রুত গা-ঢাকা দেন। অন্যদিকে বরের পরিবার ঘরের ভেতর থেকে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ওই নারী দরজার সামনেই অনশনে বসে পড়েন। তিনি হুমকি দেন স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
এদিকে বরের পরিবার জানান, ওই নারীর বিষয়টি নিয়ে তার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সময় মতো দেনা-পাওনার পরিষোধ এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
নারীর নানা আব্দুস ছালাম আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি ঘরোয়াভাবে মিটমাট করার কথা ছিল। কিন্তু তারা ঘটনাটিকে জনসমক্ষে নিয়ে আসায় এখন আর এর সমাধান সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করা ওই নারী গাজীপুরের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। এর আগে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় তার বিয়ে হয়েছিল। যা দুই বছর আগে বিচ্ছেদে গড়ায়। এরপরই ছাত্রলীগ নেতা মোকাব্বিরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।