ধানমন্ডি এলাকায় মব তৈরি করে চাঁদা দাবি করা সেই সমন্বয়কসহ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চাঁদাবাজির সময় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বসিলা হাউজিং সিটি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সাইফুল ইসলাম রাব্বি (২৮), হাসিবুর রহমান ফরহাদ (৩১), আবদুর রহমান মানিক (৩৭) ও আবু সুফিয়ান (২৯)।
গ্রেফতারকৃত সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মোহাম্মদপুর থানা শাখার পদধারী নেতা।
এর আগে, গত ১৯ মে রাত ১১টার পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বাসা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এরপর বাসার দারোয়ানকে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন তারা। ৯৯৯-এ কল করে পরিস্থিতি জানিয়ে অভিযোগ করার পর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতারে চাপ ও পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েও পড়েন উপস্থিত কয়েকজন। এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন মোহাম্মদপুর থানার সমন্বয়ক রাব্বিসহ কয়েকজনকে হেফাজতে নেয় ধানমন্ডি থানা পুলিশ। এ ঘটনার পরদিন ধানমন্ডি থানায় উপস্থিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী নেতা হান্নান মাসউদ মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনেন।
চাঁদাবাজির ঘটনায় স্থানীয়রা জানান, রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সমন্বয়ক পরিচয়ে 'সেফ হাসপাতাল' নামক একটি হাসপাতালে শিশুর মৃত্যু নিয়ে একটি চক্র চাঁদা দাবি করে। তারা কয়েকজন এসে হাসপাতালের মালিকের কাছে চাঁদা চেয়ে মব তৈরি করে। এ সময় হাসপাতালের মালিক সেনাবাহিনীকে ফোন করলে তারা এসে চারজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মামলার বাদী শিল্পী আক্তার জানান, আমার হাসপাতালে একটি মৃত শিশু জন্ম নেওয়াকে কেন্দ্র করে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কয়েকজন গিয়ে আমাকে চাঁদা চেয়ে হুমকি দেয়। কয়েক দফায় তারা আমার এবং আমার ছেলের কাছে চাঁদা দাবি করে। আমি তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আরও কয়েকজন সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আমার প্রতিষ্ঠানে যায়। এমন অবস্থা দেখে সেনাবাহিনীকে ফোন করলে তারা ঘটনাস্থলে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৪ জনকে থানায় নিয়ে যায়। আমি থানায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছি।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি কাজী রফিক জানান, চাঁদাবাজির ঘটনায় চারজনকে আটক করে আমদের কাছে সেনাবাহিনী হস্তান্তর করে গেছে। এদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির দায়ে একজন হাসপাতাল মালিক মামলা করছে। এর আগে, আটক চারজনের মধ্যে রাব্বি নামে একজনের নামে চাঁদাবাজির মামলা আছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে পাঠাব। সূত্র: যুগান্তর