শিরোনাম
◈ ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের ৪টি স্টেশনে ফাটল, খসে পড়েছে টাইলস ◈ ৩২ ঘণ্টায় চার ভূমিকম্প: ঢাকায় বড় কম্পনের শঙ্কা বাড়ছে ◈ ঢাকায় ২২ লাখ ভবনের মধ্যে ২১ লাখই ঝুঁকিপূর্ণ, বড় ভূমিকম্পে ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা ◈ ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা ◈ উত্তপ্ত আন্ডারওয়ার্ল্ড: আধিপত্যের লড়াইয়ে বাড়ছে খুন-খারাপি ও চাঁদাবাজি ◈ ভূমিকম্পে ফাঁটল: আতঙ্কে ছাত্রাবাস ছেড়ে সড়কে রাত কাটাচ্ছেন ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ বকশিবাজারে আলিয়া মাদরাসায় ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী (ভিডিও) ◈ ভারত আইনগতভাবে হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য: নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুনিরুজ্জামান ◈ ভূমিকম্পে মৃত্যু: ছেলেকে হারিয়ে নিজেকেই দায়ী করছেন মা নিপা ◈ মুশফিককে কেন রেকর্ড গড়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি, ব্যাখ্যা দিলেন আশরাফুল

প্রকাশিত : ২৪ জুন, ২০২১, ০৩:১১ দুপুর
আপডেট : ২৪ জুন, ২০২১, ০৩:১১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দীপক চৌধুরী: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শত-সহস্র চলচ্চিত্র হতে পারে

দীপক চৌধুরী: যদি ইতিহাসের পেছনে মুখ ঘুরিয়ে তাকাই তাহলেই দেখবো, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও সংগ্রাম করেছে। তিনিই এদেশের রাজনীতিতে নতুন প্রাণ দিয়েছিলেন, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা। সাম্প্রদায়িকতাকে কবর দেওয়া হয়েছিল ১৯৭১-এ। তিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন জাতিকে। কুখ্যাত খুনিরা তাঁকে বাঁচতে দিলো না। আমরা তাঁকে হারালাম ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট। অথচ এই স্বাধীন দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষাক্ত ছোবল দেওয়া হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর। এরপর দল তৈরি করেন জিয়াউর রহমান। সেনা ছাউনি থেকে গড়ে তোলা তাঁর দল বিএনপি এদেশে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষায় কী রকম প্রাণান্তকর চেষ্টা চলেছিল তখন এদেশে। আর কী দুর্ভাগ্য আমাদের? জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পরে তার নাম ও জয় বাংলা নিষিদ্ধ হয়েছে হয়ে গিয়েছিল এদেশে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল। দিন বদল করেছেন তাঁর সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা। সুতরাং একটি দেশের ঐতিহ্য, শিল্প-সংস্কৃতি ও ইতিহাস রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। পরবর্তী প্রজন্মের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। সুতরাং এখনই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একের পর এক নানান চলচ্চিত্র নির্মাণের চিন্তা করা দরকার। আসলেই তো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শত-সহস্র চলচ্চিত্র হতে পারে। তাঁর প্রতিটি দিন, প্রতিটি সংগ্রামী মুহূর্তের ঘটনা নিয়ে চলচ্চিত্র হতে পারে। অত্যন্ত আশার কথা, ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ চলচ্চিত্রের পোস্টার রিলিজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে নির্মিত ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ পূর্ণ্যদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পোস্টার উদ্বোধন করেছেন।

২৩ জুন আওয়ামীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিবসে ঢাকায় গণভবনে এক অনুষ্ঠানে স্বাক্ষরের মাধ্যমে তিনি পোস্টার উদ্বোধন করেন। এ সময় চলচ্চিত্রটির পরিচালক এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

হায়দার এন্টারপ্রাইজ-এর ব্যানারে নির্মিত ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ চলচ্চিত্রটি আগামী আগস্ট মাসে মুক্তি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে প্রধান প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন- আহমেদ রুবেল, পূর্ণিমা, খায়রুল আলম সবুজ, প্রয়াত এস এম মহসীন, দিলারা জামান, আজাদ আবুল কালাম, শতাব্দী ওয়াদুদ, সমু চৌধুরী, আরমান পারভেজ মুরাদ, শাহজাহান সম্রাট, সেলিম আহমেদ (প্রয়াত)এবং জুয়েল মাহমুদ। চলচ্চিত্রটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা নিবেদিত।

কয়েকমাস আগে বিবিসি বাংলা বিভাগ 'বঙ্গবন্ধু' বায়োপিক নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রচার করেছে। মুম্বাইতে জাতির পিতা শেখ মুজিবের জীবন নিয়ে ছবির শুটিং হয়েছে। ভারতে বিনোদনের রাজধানী মুম্বাইয়ের শহরতলির এক প্রান্তে পাহাড়, লেক আর গাছগাছালিতে ঘেরা দাদাসাহেব ফালকে 'চিত্রনগরী' বা ফিল্মি সিটি - সেখানেই করা হয়েছে বহুপ্রতীক্ষিত 'বঙ্গবন্ধু' বায়োপিকের শুটিং। অ্যারে পার্ক নামে একটা বিস্তির্ণ সবুজ পাহাড়ি অরণ্যের কোলে বিছানো এই ফিল্ম সিটি। আপাতত তারই অন্তত ছ'টা লোকেশনে পড়েছে বঙ্গবন্ধুর সেট। কোথাও টুঙ্গিপাড়ার নদীর ঘাট বা ফুটবল মাঠ, কোথাও আবার শেখ মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত কলকাতার বেকার হোস্টেল। আসলে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার মিলে তার জীবন নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করবে, এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বেশকয়েক বছর আগেই।
গত মার্চে এক সন্ধ্যায় ঢাকা শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা হলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব থেকে তারুণ্যের গল্প নিয়ে নির্মিত ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ ছবিটির প্রিমিয়ার শো আয়োজন করা হয়েছিল। প্রিমিয়ার শো উদ্ভোধনকালে শিক্ষামন্ত্রী দীপু চলচ্চিত্র নিয়ে কিছু কথা বলেন। সেদিন দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একজন মানুষ- যার জীবনের যে কোনো একটি দিন নিয়েও বোধহয় একটি সিনেমা নির্মাণ করা সম্ভব। এই মহান মানুষটির যে কোনো আন্দোলনের অধ্যায় তো বটেই, তার যে ত্যাগ-তিতিক্ষা রয়েছে তা নিয়েও বড় বড় কালজয়ী সিনেমা বানানো সম্ভব।’

লেখক : উপসম্পাদক, আমাদের অর্থনীতি, সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়