শিরোনাম
◈ আবার আ‌র্জেন্টিনা -ব্রা‌জিল মু‌খোমু‌খি ◈ সেন্ট মার্টিনে ১ ডিসেম্বর থেকে জাহাজ চলাচল শুরু, পর্যটকদের জন্য রাতযাপনের সুবিধা থাকবে ◈ ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের ৪টি স্টেশনে ফাটল, খসে পড়েছে টাইলস ◈ ৩২ ঘণ্টায় চার ভূমিকম্প: ঢাকায় বড় কম্পনের শঙ্কা বাড়ছে ◈ ঢাকায় ২২ লাখ ভবনের মধ্যে ২১ লাখই ঝুঁকিপূর্ণ, বড় ভূমিকম্পে ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা ◈ ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা ◈ উত্তপ্ত আন্ডারওয়ার্ল্ড: আধিপত্যের লড়াইয়ে বাড়ছে খুন-খারাপি ও চাঁদাবাজি ◈ ভূমিকম্পে ফাঁটল: আতঙ্কে ছাত্রাবাস ছেড়ে সড়কে রাত কাটাচ্ছেন ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ বকশিবাজারে আলিয়া মাদরাসায় ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী (ভিডিও) ◈ ভারত আইনগতভাবে হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য: নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুনিরুজ্জামান

প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:১৩ রাত
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভূমিকম্পে মৃত্যু: ছেলেকে হারিয়ে নিজেকেই দায়ী করছেন মা নিপা

‘আমারই দোষ, আমার কারণেই ছেলেটা মারা গেছে। আমি কেন যে ওকে সঙ্গে নিয়ে মাংস কিনতে গেলাম। ওকে বকা দিয়ে বাসায় রেখে গেলেই এমন হতো না। আমার ছেলেটা আজ বেঁচে থাকত।’ সন্তানের মৃত্যুর জন্য এভাবেই নিজেকে দায়ী করছিলেন নুসরাত জাহান নিপা। 

শুক্রবার ঢাকায় ভূমিকম্পে ভবনের ছাদের রেলিং পড়ে মারা যায় তার ছেলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম রাফি। একই ঘটনায় নিপাও গুরুতর আহত হন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতির আশঙ্কায় ছেলের মৃত্যুর ২৮ ঘণ্টা পর শনিবার বিকেলে তাকে খবরটি জানানো হয়।

রাফির দূর সম্পর্কের মামা শাহরিয়ার মেহফুজ জানান, ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিপা। কিছুক্ষণ পরপরই তিনি অচেতন হয়ে পড়ছিলেন। তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে শনিবার ভোর ৫টার দিকে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে গ্রামের বাড়ি বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন স্বজনরা। সেইসঙ্গে আলাদা অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয় রাফির মরদেহ। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তারা বগুড়া শহরে পৌঁছান। এরপর নিপাকে শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এদিকে বাদ জোহর বগুড়া শহরের নামাজগড়ে রাফির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তার স্বজন ছাড়াও সহপাঠী, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অংশ নেন। পরে বিকেল ৩টার দিকে ছেলের মৃত্যুর খবর জানাতে যান নিকটজনদের একটি দল। ছেলেকে নিয়ে শঙ্কায় থাকা মা এবার হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। পরে জ্ঞান হারান। সবাই নানাভাবে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। চাচা মামুন মোর্শেদ টুলু নিজের একমাত্র সন্তান হারানোর ঘটনা উল্লেখ করে তাকে শক্ত থাকার অনুরোধ জানান। ২০২০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে সাব্বির সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। নিপা কিছুটা ধাতস্থ হলে তাকে শেষবারের মতো সন্তানের মুখ দেখতে দেওয়া হয়। পরে বাদ আসর নামাজগড় কবরস্থানে রাফিকে দাফন করা হয়।
 
এর আগে শুক্রবার ছুটির দিনে মায়ের কাছে মাংস খাওয়ার আবদার করেন ২১ বছর বয়সী রাফি। ফ্রিজে মাংস না থাকায় মা–ছেলে বাসা থেকে বের হন। পুরান ঢাকার বংশালের কসাইটুলী এলাকায় তাদের বাসা। অদূরেই নয়নের মাংসের দোকান। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার সময় ভূমিকম্পে পাশের ভবনের ছাদের রেলিং ভেঙে পড়ে। এতে মা–ছেলে দুজনই আহত হন। তাদের মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় মাংস কিনতে যাওয়া বাবা–ছেলের মৃত্যু হয়। তারা হলেন– কাড় ব্যবসায়ী আবদুর রহিম (৪৫) ও তার ছেলে মেহরাব হোসেন রিমন (১১)। উৎস: সমকাল।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়