আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্যমতে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল নরসিংদী থেকে ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
তবে আবহাওয়া অফিসের একটি বার্তায় (মেসেজ) বলা হয়েছে, এর উৎপত্তিস্থল ঢাকার বাড্ডা অঞ্চলে।
আবহাওয়া অফিসের বার্তায় ভূমিকম্পটির লোকেশন উল্লেখ করা হয়েছে, ২৩.৯৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ৯০.৬১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থাও এই একই লোকেশন উল্লেখ করেছে। গুগল ম্যাপে এই লোকেশন সার্চ করে দেখা গেছে, এটি নরসিংদী জেলার ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে কালিগঞ্জ ও ঘোড়াশালের মধ্যবর্তী একটি জায়গা, বাড্ডা নয়।
আজ শনিবার বেলা একটার দিকেও আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের উৎস জানিয়েছিল সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা। পরে বিকাল চারটার দিকে ফের জানায়, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর পলাশ উপজেলা। বিশ্লেষণে সমস্যার কারণে এই ভুল হয়েছিল বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা। শুক্রবারের ভূমিকম্প সারা দেশেই অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের সময় অনেকেই আতঙ্কে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। এতে শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি—পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে নরসিংদীতে। ঢাকায় চার ও নারায়ণগঞ্জে একজন মারা যান। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে অনেকেই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এ ছাড়া কিছু ভবন হেলে পড়ে ও ফাটল দেখা দেয়।
ইউএসজিএস এর তথ্য।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বার্তা।

সূত্র: যুগান্তর