রাশিদুল ইসলাম : [২] স্থান সংকুলান না হওয়ায় দেশটিতে কোভিডে মৃত লাশগুলো জমছে। স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করলে হাসপাতাল কিংবা শরণার্থী শিবিরে আটক রাখা হচ্ছে বিধি ভঙ্গকারীকে। পূর্ব জার্মানির মেইসেন সহ বিভিন্ন এলাকায় লাশের কফিনগুলো রাখা হয়েছে এবং অপেক্ষাকৃত দারিদ্র মানুষ ওসব এলাকায় বাস করে। ডেইলি মেইল
[৩] মাইসেনের এক শ্মশান ব্যবস্থাপক জোয়ার্গ স্কালডাচ বলেন গত সপ্তাহে ১৪’শ মৃতদেহ দাহ করা হয়। যাদের অর্ধেকের বেশি কোভিডে মারা যান। গত ডিসেম্বরের তুলনায় এ সংখ্যা দ্বিগুণ। বয়স্ক মানুষরাই বেশি মারা যাচ্ছেন।
[৪] সোমবার পর্যন্ত জার্মানিতে ২০ লাখ ৪০ হাজার ৬৫৯ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৪৬ হাজার ৬৩৩ জন।
[৫] স্থানীয়রা এধরনের মৃত্যুর জন্যে সরকারকে দোষারোপ করছেন। হাসপাতালে অনেকে মারা যাচ্ছেন একাকি, তাদের স্বজন বা প্রিয়জন কেউ পাশে থাকছেন না। একটি ফোনকলে মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে দেয়া হয়েছে। কোনো অন্তেষ্ট্যিক্রিয়ার সুযোগ মিলছে না।
[৬] দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির বাডেন ওয়ার্টেমবার্গে হাসপাতালের দুটি কক্ষ রাখা হয়েছে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গকারীদের আটকের জন্যে। জার্মানির পূর্বাঞ্চলের স্যাক্সনিতে শরণার্থী শিবির খোলা হচ্ছে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গকারীদের জন্যে। ব্রান্ডেনবার্গে বেশ কিছু শরণার্থী শিবির একইভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
[৭] স্থানীয় সরকারকে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গকারীদের আটকের জন্যে রোগ প্রতিরোধ আইনে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এএফডি এমপি জোয়ানা কোটার এধরনের আটককে অতিরিক্ত অভিহিত করে কড়া সমালোচনা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :