দেশে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এরপর দিন আরও কয়েকটি হালকা ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে করণীয় মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) শাহজাহান শিকদার জানিয়েছেন, ভূমিকম্প চলাকালীন সঠিক পদক্ষেপ নিলে প্রাণহানি ও ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। যে সতর্কতাগুলো জরুরি ভিত্তিতে মেনে চলতে হবে সেগুলো হলো–
শান্ত ও স্থির থাকা, ভূকম্পন অনুভূত হলে আতঙ্কিত না হয়ে স্থির থাকা। ভবনের নিচতলায় থাকলে দ্রুত বাইরে বের হয়ে খোলা জায়গায় আশ্রয় নেওয়া।
বহুতল ভবনে থাকলে ড্রম কভার হোল্ড পদ্ধতি অনুসরণ করা। নিচু হয়ে শক্ত টেবিল বা ডেস্কের নিচে ঢুকে খুঁটি শক্ত করে ধরা। অথবা কলামের পাশে, বিমের নিচে আশ্রয় নেওয়া। সম্ভব হলে বালিশ, কুশন বা এ জাতীয় বস্তু দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা।
ভূমিকম্প চলাকালীন কখনও লিফট ব্যবহার করা যাবে না। ভূমিকম্প থামার পর দ্রুত গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা।
ঝুঁকিপূর্ণ আসবাব ও ঝুলন্ত জিনিস থেকে দূরে থাকা। বারান্দা, ব্যালকনি, জানালা, বুকশেলফ, আলমারি, ফ্যান বা ঝুলন্ত ভারী বস্তু থেকে দূরে থাকা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস (টর্চ, হেলমেট, জরুরি ওষুধ, বাঁশি) হাতের কাছে রাখা।
বাইরে থাকলে খোলা স্থানে আশ্রয় নেওয়া। গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, উঁচু ভবন বা দেওয়ালের পাশে না দাঁড়ানো।
গাড়িতে থাকলে নিরাপদ স্থানে থামা। ওভারব্রিজ, ফ্লাইওভার, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামানো। ভূকম্পন থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরেই থাকা।
আবারও ভূমিকম্প হতে পারে। একটি ভূমিকম্পের পর আফটারশক হওয়া স্বাভাবিক। ক্ষতিগ্রস্ত ভবন, ব্রিজ বা দুর্বল স্থাপনার কাছে না যাওয়া। এগুলো ভেঙে পড়তে পারে।
সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টাই সুরক্ষা নিশ্চিত করে উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিস বলেছে, সবার দায়িত্বশীল আচরণেই বড় ক্ষতি কমানো সম্ভব। জরুরি প্রয়োজনে সংস্থার হটলাইন নম্বর ১০২ এ যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।