ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকল উপজেলার বোগর গ্রামের শিয়ালগাজী গ্রামে সন্ধান মিলেছে এক প্রাচীন কবরের, যা প্রায় ৪০ থেকে ৪২ হাত লম্বা বলে ধারণা করা হয়। এই রহস্যময় কবরকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে বহু অলৌকিক বিশ্বাস ও গা ছমছমে গল্প।
ইতিহাস ও জনশ্রুতি
কবরটির আদি ইতিহাস সম্পর্কে গ্রামে জীবিত কোনো ব্যক্তিই নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি। বাপ-দাদাদের আমল থেকেও এর সঠিক সময়কাল অজানা। তবে এই রহস্যের ইতিহাস লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম থেকে গ্রামে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা থাকলেও, অনেকেই তাদের জীবনের নানান আকাঙ্ক্ষা পূরণের আশায় এখানে আসেন। এই কবর ঘিরে মানুষের মাঝে ভয়ের বদলে জন্ম নিচ্ছে আস্থা ও সম্মান।
গাড়ী চালকের অভিজ্ঞতা
একজন গাড়ী চালক এই কবর ঘিরে এক আশ্চর্য অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে তিনি এই পথে গাড়ি চালাচ্ছেন। একবার রাত দু'টোর সময় কবরের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই তার গাড়ির চাকা বন্ধ হয়ে যায়। পরে তিনি হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়ার পর গাড়িটি পুনরায় চালু হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গল্প
স্থানীয়দের মতে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েও এই কবরের অলৌকিক ক্ষমতা দেখা যায়। গ্রামবাসী জানান, পাক হানাদার বাহিনীর (পাঞ্জাবি) সদস্যরা কবরের প্রতি অসম্মান দেখালে তারা নাকি উচিত শিক্ষা পেয়েছিল। হানাদাররা কবরের অলৌকিকতা বিশ্বাস করতে না পেরে পেশাব করার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে কেউ কেউ মারাও গিয়েছিল।
বর্তমানে স্থানীয়রা এই রহস্যময় স্থানকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখেন এবং নানা মানত পূরণের জন্য ভিড় করেন।