প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। বিষয়টি নিজেই প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।
৫৯ বছর বয়সি লর্ড ক্যামেরন দ্য টাইমসকে জানান, তার স্ত্রী উদ্যোক্তা নিক জোন্সের একটি বিবিসি রেডিওর সাক্ষাৎকার শুনে তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বলেন। জোন্স নিজেও প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং এরপরই পুরুষদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাড়ানোর পক্ষে প্রচারণা শুরু করেন।
এই বছরের শুরুতে লর্ড ক্যামেরনের প্রোস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন (পিএসএ) পরীক্ষা করা হয়। এরপর এমআরআই স্ক্যান ও বায়োপসি করা হয়। পিএসএ পরীক্ষায় প্রোস্টেট ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কিত প্রোটিন শনাক্ত হয়। টেস্টের রিপোর্টে পিএসএ অস্বাভাবিকভাবে বেশি আসে।
ডেভিড পরে ফোকাল থেরাপি নামের পদ্ধতিতে চিকিৎসা নেন। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে আল্ট্রাসাউন্ডসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে টিউমারের নির্দিষ্ট অংশ লক্ষ্য করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা হয়।
ক্যামেরন টাইমসকে বলেন, ‘আমি যদি প্রকাশ্যে না বলতাম যে আমার এমন একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাহলে খারাপ লাগত। আমি একটি স্ক্যান করিয়েছিলাম। এটি আমাকে একটি সমস্যার কথা জানতে সাহায্য করেছে। আর সেই সমস্যা মোকাবিলার সুযোগ দিয়েছে।’
উল্লেখ্য, ডেভিড ক্যামেরন ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি