বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, বিএনপি জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছে। অথচ, ১৯৯১ সালে যদি জামায়াত নিষিদ্ধ থাকতো তাহলে কি জামায়াতের সমর্থন নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারতো? সেদিন যদি জামায়াত তাদের সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় না বসাতো, তাহলে বিএনপি কি বর্তমান পর্যায়ে আসতে পারতো? জবাব হলো অবশ্যই না।
বিএনপি অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দিচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি এখন পতিত স্বৈরাচারীদের মতোই জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কথা বলছে। খালেদা জিয়ার অনুরোধে আমরা তাদের সমর্থন জানিয়েছিলাম। এখন এসব হাস্যকর বক্তব্য দিয়ে বিএনপি অকৃতজ্ঞতার প্রমাণ দিচ্ছে।
রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির বলেন, বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের ন্যারেটিভ দিচ্ছে। বিএনপি আওয়ামী লীগের চেয়ারে বসে জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলে। তারা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, দেশে বর্তমান যে সংকট চলছে তা বিএনপিই সৃষ্টি করেছে। জামায়াত কখনো ধোঁকা, প্রতারণা ও মুনাফিকির রাজনীতি করে না। বিএনপিই বরং ধোঁকা, প্রতারণা ও অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দিচ্ছে।
বিএনপি সংস্কারের বিরোধিতা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি প্রথম থেকেই সংস্কারের ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করে আসছে। তারা নিজেদের সংস্কারের পিতা দাবি করছিল। কিন্তু বাস্তবে সব সময়ই সংস্কারের বিরোধিতা করছে। দুনিয়ার কোনো দেশেই নোট অব ডিসেন্টের ওপর গণভোট হয়নি।
জামায়াতের এ নেতা আরও বলেন, বিএনপি নেতারা জামায়াতের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে সংকট সৃষ্টির মিথ্যা অভিযোগ করছেন। কিন্তু বাস্তবে তারা নিজেরাই মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন। তারা বলেন আমরা নাকি নির্বাচনের জন্য প্রস্তত না। অথচ আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে টাকা পয়সা খরচ করছি, পুরোদমে নির্বাচনের জন্য প্রস্তত। অথচ তারা এখনো একটি আসনেও প্রার্থী দেয়নি।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী কখনো মিথ্যা বক্তব্য দেয় না। বিএনপির মহাসচিব জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন। এখন মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে গিয়ে নিজেরাই বিপদে পড়েছেন। অথচ অভিযোগ করছেন যে, জামায়াত তাদের বিপদে ফেলেছে। বরং তারা নিজেরাই মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে বিপদে পড়েছেন। উৎস: জাগোনিউজ২৪