শিরোনাম
◈ আরপিও ২০ ধারার সংশোধনী: রাজনৈতিক অধিকার বনাম আইনগত বাধ্যবাধকতা ◈ পাঁচ দুর্বল ইসলামী ব্যাংক একীভূত: নতুন ‘সম্মিলিত ব্যাংক’ গঠনের পথে সুযোগ ও ঝুঁকি ◈ নৌ, বস্ত্র ও পাট, পরিকল্পনা ও সমবায়ে নতুন সচিব ◈ যারা চাপে পড়বেন নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হলে ◈ প্রার্থীদের ঋণতথ্য যাচাইয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আসা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ সাংবাদিককে কনুই মারলেন বিএনপি নেতা সালাম, ভিডিও ভাইরাল ◈ বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নিল ভারতীয় দূতাবাস ◈ গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে সোমবার! ◈ দুর্দান্ত ব‌্যা‌টিং‌য়ে অঙ্কনের শতক, ঘুরে দাঁড়ালো ঢাকা বিভাগ 

প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০১ দুপুর
আপডেট : ০২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অনিদ্রায় ঘুমের ওষুধ নয়, এই কয়েকটি খাবারই কার্যকর

অতিরিক্ত কাজের চাপ, মানসিক উদ্বেগ বা অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে আজকাল অনিদ্রা এক সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে এর সমাধান খোঁজেন ঘুমের ওষুধে, কিন্তু অল্প বয়সে নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। তার চেয়ে বরং ভরসা রাখুন কিছু প্রাকৃতিক খাবারে। খুব সাধারণ কিছু খাবারই আপনার অনিদ্রা দূর করে দিতে পারে সহজে ও নিরাপদে। চলুন, জেনে নিই।

গরম দুধে হলুদ

দুধে থাকে ট্রিপটোফ্যান নামের এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড, যা সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাড়িয়ে ঘুম আনতে সাহায্য করে। এক কাপ গরম দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে পান করলে শরীরের প্রদাহ কমে, মন শান্ত হয় এবং সহজে ঘুম আসে। এই প্রাচীন ঘরোয়া উপায় আজও সমান কার্যকর।

কলা

কলা শুধু শক্তি জোগায় না, ঘুমের মানও উন্নত করে। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম পেশি শিথিল করে এবং কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমায়। ঘুমাতে যাবার এক ঘণ্টা আগে একটি কলা খেলে শরীর ঘুমের জন্য প্রস্তুত হয়।

গুড়

গুড়ে থাকা প্রাকৃতিক গ্লুকোজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে।

সামান্য গুড় গরম দুধ বা পানির সঙ্গে খেলে মন প্রশান্ত হয় ও ঘুম ভালো হয়। পাশাপাশি এটি হজমেও সাহায্য করে, ফলে রাতের ঘুম আরো আরামদায়ক হয়।

ওটস

ওটস ও ডালিয়ায় থাকা জটিল কার্বোহাইড্রেট মেলাটোনিন হরমোনের নিঃসরণে সহায়তা করে। এটি শরীরের তাপমাত্রা ও হজম প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে। রাতে গরম দুধে ওটস বা ডালিয়া খেলে পেট ভরে, মন শান্ত হয় এবং মস্তিষ্ক ঘুমের সংকেত পায়।

বাদাম ও কিশমিশ

আমন্ড ও আখরোটে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্নায়ু শান্ত করতে সাহায্য করে। কিশমিশের প্রাকৃতিক মিষ্টি স্বাদ মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরণ বাড়ায়। ঘুমানোর আগে একমুঠো বাদাম ও সামান্য কিশমিশ খেলে ঘুমের মান অনেকটাই উন্নত হয়।

ভাত ও ডাল

শুনতে অবাক লাগলেও, ভাত-ডালের মতো সাধারণ খাবারও ভালো ঘুম আনতে পারে। এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের মিশ্রণ ট্রিপটোফ্যানের উৎপাদন বাড়ায়, যা শরীরকে ধীরে ধীরে রিল্যাক্স করে। রাতে হালকা গরম ভাত-ডাল খেলে সহজেই ঘুম আসে।

সূত্র : এই সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়