 
    
বর্তমানে ফ্যাটি লিভার বা যকৃতের চর্বি জমা সমস্যা দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে আমাদের দেশে এই রোগের প্রভাব উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, এই রোগ মূলত দুই ধরনের—অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
খাবারের ভূমিকা
ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তদের জন্য খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কিছু খাবার লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে, আবার কিছু খাবার অনিয়ন্ত্রিতভাবে খেলে বিপরীত প্রভাব ফেলে। অনেকেই জানতে চান—ফ্যাটি লিভারে ঘি খাওয়া কি নিরাপদ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা, জেনে নিন—
বিশেষজ্ঞদের মত
ইনস্টিটিউট অব লিভার অ্যান্ড বিলিরি সায়েন্সেস এর ডিরেক্টর, হেপাটোলজিস্ট ও গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. শিবকুমার সরিন জানান—‘ঘি শরীরের জন্য উপকারী ফ্যাটের একটি উৎস। এটি লিভারের ক্ষতি করে না বরং শরীরে গুড ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি ঘি খেলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কিছুটা কমে।’
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘ঘি খাওয়ার পাশাপাশি শরীরচর্চা জরুরি। শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকলে অতিরিক্ত ফ্যাট লিভারে জমে গিয়ে সমস্যা বাড়াতে পারে।’
কোন খাবার লিভারের জন্য ক্ষতিকারক
মার্কিন থাইরয়েড ও পিসিওএস বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যাড্রিয়ান সজনাজদার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এক ভিডিওতে বলেন, ‘লিভারের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক খাবার হলো উচ্চ ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ।
অনেকেই ভুলভাবে মনে করেন স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যেমন ঘি, বার্গার বা ফ্রাই করা খাবার লিভারের ক্ষতি করে। কিন্তু বাস্তবে, গ্লুকোজের তুলনায় ফ্রুক্টোজ দ্রুত লিভারে চর্বিতে রূপান্তরিত হয়।’
এই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ সাধারণত কুকিজ, ক্যান্ডি, কোমল পানীয় ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে ব্যবহৃত হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, এসব খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।
তাই ফ্যাটি লিভার থাকলে ঘি পুরোপুরি বাদ দেওয়ার দরকার নেই।
তবে মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। ঘি খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত পানি পান ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
সূত্র : আজতক বাংলা
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
