আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আবারও নারী নির্যাতনের ঘটনায় আলোচনায় এসেছে ভারতের বিজেপি শাসিত ওড়িশা রাজ্য। পরকীয়ার অভিযোগে স্বামী নিজেই এক স্কুলশিক্ষিকাকে প্রকাশ্যে অপমান ও নির্যাতন করেছেন। রাস্তায় গলায় জুতার মালা পরিয়ে ওই নারীকে ঘোরানোর ঘটনাটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার পুরী জেলায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার নারী পেশায় একজন স্কুলশিক্ষিকা। দাম্পত্য কলহের কারণে কিছুদিন ধরেই তিনি স্বামীর থেকে আলাদা থাকছিলেন। অভিযোগ, ওই নারী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন— এমন সন্দেহেই মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে তাঁর কলেজশিক্ষক স্বামী কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে নিমাপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় হানা দেন।
তখন তিনি স্ত্রীর সঙ্গে আরেক পুরুষকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পান বলে অভিযোগ। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী স্ত্রীর ওপর অকথ্য নির্যাতন চালান। সেই সময় মহিলার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকেও মারধর করা হয়। পরে দুইজনকেই অমানবিকভাবে অপমানিত করা হয়— শিক্ষিকাকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করা হয়, আর তার সহকর্মী পুরুষ শিক্ষককে শুধু অন্তর্বাস পরে রাস্তায় হাঁটানো হয়।
এ সময় আশপাশের লোকজন ভিডিও ধারণ করেন, যা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশ ঘটনাটি তদন্তে নামে। পুরী জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নির্যাতিতার স্বামী ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, শারীরিক হামলা ও নারীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
ওড়িশায় এই ঘটনার পর নারী অধিকারকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, সামাজিক ও পারিবারিক বিবাদে নারীর প্রতি এমন অমানবিক আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
চলমান তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।