ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান সম্প্রতি একের পর এক চমক দিয়ে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সিনেমা, বিজ্ঞাপন কিংবা জনসম্মুখ—যেখানেই তিনি উপস্থিত হচ্ছেন, সেখানেই তৈরি হচ্ছে নতুন ট্রেন্ড।
এর মধ্যেই নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে নতুন গুঞ্জন, শাকিব কি অভিনয় ছাড়ছেন? নাকি এবার রাজনৈতিক মঞ্চেই দেখা যাবে দেশের ‘নাম্বার ওয়ান’ নায়ককে? কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জোর আলোচনা, তিনি নাকি যোগ দিচ্ছেন দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলে।
পর্দার সুপারহিরো কি সত্যিই রাজনীতিতেও ‘হিরো’ হতে যাচ্ছেন? ভক্তদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, শাকিব খান কি এবার দেশের নেতৃত্বেও ভূমিকা রাখতে চান?
এ গুঞ্জনের ডালপালা ছড়াতে শুরু করে শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শাকিবের শোকবার্তা ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ককে কেন্দ্র করে। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান থেকে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছিলেন, যা নিয়ে নেটিজেনদের একাংশ কঠোর সমালোচনা করেন। পরে তিনি দেশের একটি দৈনিককে জানান, দেশের জন্য যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের প্রতি সম্মান জানানো রাজনৈতিক দলীয় সীমার বাইরে থাকা উচিত।
রাজনীতিতে নিজের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তখনই পরিষ্কার ভাষায় শাকিব বলেন, ‘আমি কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। কোনো রাজনৈতিক পদ নেই, দায়িত্বও নেই। বেশ কয়েকবার আমাকে রাজনীতিতে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সিনেমার কথা ভেবে এড়িয়ে গেছি। কোনো রাজনৈতিক সুবিধাও নেইনি; বরং বহু সময় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কারণে কাজ ও ব্যক্তিজীবনে নানা বাধার মুখে পড়েছি।’
তবু গুঞ্জন থামেনি। শাকিবের সম্ভাব্য রাজনীতিতে আসার খবরে ভক্তদের একাংশ উৎসাহ দেখালেও অনেকেই মনে করছেন এই নায়ক মঞ্চের রাজনীতিতে নয়, পর্দাতেই ‘নাম্বার ওয়ান’।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এ ব্যাপারে শাকিব খান নিজে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খোলেননি। তার ঘনিষ্ঠরাও কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছেন না। ফলে প্রশ্নই থেকে যাচ্ছে, এ সব কি শুধুই নেটদুনিয়ার রটনা, নাকি সত্যিই শাকিব খান পা রাখতে যাচ্ছেন বড় কোনো রাজনৈতিক দলে? এখন অপেক্ষা শুধু সময়ের। উৎস: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।