ইফতেখার আলম বিশাল,রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) প্রকল্পের অধীনে ৩৬ জন জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে অগ্রিম প্রার্থী তালিকা তৈরির অভিযোগ উঠেছে। আগামীকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জনবল নিয়োগের টেন্ডার অপেন হওয়ার কথা থাকলেও-এর আগেই পছন্দের ব্যক্তিদের নামের তালিকা তৈরি হচ্ছে বলে রাসিকের ভেতরে গুঞ্জন চলছে। এতে বর্তমান কর্মচারিদের মধ্যে ব্যাপক শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, জনবল নিয়োগের জন্য রাসিক পরপর তিনবার টেন্ডার আহ্বান করে। সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ১৬ নভেম্বর। আজ টেন্ডার ওপেনিংয়ের পর সর্বনিম্ন দরদাতা ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে। এ প্রকল্পে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ৫ জন, সহকারী আর্কিটেক্ট ১ জন, সাব-সহকারী প্রকৌশলী ১০ জন, সার্ভেয়ার ১ জন, কার্যসহকারী ১৪ জন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ১ জন, চালক ২ জন এবং অফিস হেল্পার ২ জনসহ মোট ৩৬ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা।
তবে অভিযোগ রয়েছে-টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ না হতেই অগ্রিম নিয়োগ তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। রাসিকের এক সাবেক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালকের নামও তালিকা তৈরির গুঞ্জনে শোনা যাচ্ছে। কর্মচারিদের একটি অংশের দাবি, যাদের তালিকায় রাখা হচ্ছে তারা অধিকাংশই পূর্ববর্তী মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠ যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। এমনকি তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলাও রয়েছে।
রাসিকের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল কর্মচারিরা জানান, আগের প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া একই ব্যক্তিদের আবারও চাকরিতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তারা আশঙ্কা করছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক কর্মীদের পুনঃনিযুক্ত করা হলে দপ্তরে ‘ফ্যাসিবাদ ও বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টি হতে পারে। কিছু কর্মচারির মত-নতুন মেয়র দায়িত্ব নেওয়া পর্যন্ত নিয়োগ স্থগিত রাখা উচিত। তবে অন্য অংশের মত, জনবল নিয়োগ হলেও তা যেন স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক রাসিকের প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “টেন্ডার ওপেন হওয়ার আগে কোনো অগ্রিম তালিকা হচ্ছে-এ তথ্য আমার জানা নেই। যে ঠিকাদার কাজ পাবেন, তিনি জনবল দেবেন। রাসিক শুধু তালিকা পর্যালোচনা করবে এবং যোগ্যতা অনুযায়ী অনুমোদন দেবে।”
তিনি আরও বলেন, “কে কাজ পাবে এখনই বলা সম্ভব নয়। সবকিছু নীতিমালার মধ্যেই এগোবে।”
জনবল নিয়োগের এই প্রক্রিয়া এখন রাসিকজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।