তপু সরকার হারুন, শেরপুর: শেরপুরের শ্রীবরদী ও জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় প্রতিনিয়ত অবৈধ ভাবে সার পাচার ও পরিবহন করে আসছে একটি চক্র। গত ভায়াডাঙ্গা থেকে বকশিগঞ্জ উপজেলার কামালপাত্তি এলাকায় যাওয়ার পথে ১৫ বস্তা সার সহ একটি ভ্যান আটক করেন স্থানীয় রাণীশিমূল এলাকার বাসিন্দা। তাদের দাবি—আরও ৩টি ভ্যান যখন খুব দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায় ।
আটককৃত ১৫ বস্তা সারের মধ্যে রয়েছে ৮ বস্তা টিএসপি ও ৭ বস্তা ডিএপি। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীবরদী উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, ইউএনওর নির্দেশ অনুসারে জব্দ করা হয় ।
ভ্যান চালক জানান, তিনি জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালপাত্তি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, একই এলাকার সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী মোঃ মোশারফ হোসেন তাকে এই সার পরিবহনের কাজ করান । ভায়াডাঙ্গা বাজারে বিনা এন্ড মেঘনা ট্রেডার্স এর নামের একটি দোকান থেকে মালিক মোঃ বিল্লাল হোসেনের নিকট প্রতিবস্তা পনের শত ৮৬ টাকা দাম বাবদ ২৩ হাজার ৮০০ টাকা পরিশোধ করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, এলাকায় কৃষি মৌসুমে সার সংকট দেখা দিলেই একটি বিশেষ চক্র অতিরিক্ত মুনাফার আশায় বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলার সীমানা পেরিয়ে অবৈধভাবে সার পাচার করে থাকে। অভিযোগ রয়েছে ভায়াডাঙ্গা বাজারে বিনা এন্ড মেঘনা ট্রেডার্স এর মালিক মোঃ বিল্লাল হোসেন দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ ভাবে সার পাচার করে আসছে।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে—প্রাথমিকভাবে আটক সার, ভ্যান এবং মোবাইল ফোন জব্দ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জরিত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।