জামাল হোসেন খোকন, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা): মাঘের প্রথম সপ্তাহে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার প্রভাবে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের বীজতলা ক্ষতির মুখে পড়েছে। কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে অনেক বীজতলার চারা হলুদ ও লালচে রঙ ধারণ করছে, কোথাও কোথাও চারা শুকিয়ে মারা যাচ্ছে।
গতকাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বোরো চাষিরা বীজতলা রক্ষায় নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছেন। কেউ কুয়াশাজনিত ক্ষতি ঠেকাতে বালাইনাশক স্প্রে করছেন, আবার অনেকে বিকেলে বীজতলায় পানি জমিয়ে রেখে সকালে তা বের করে দিচ্ছেন, যাতে চারাগুলো সতেজ থাকে।
উপজেলার গঙ্গাদাশপুর গ্রামের কৃষক জিয়ারুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে বোরো চারাগুলো হলুদ হয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে চারাগুলো মরে যাওয়ায় বীজতলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
একই গ্রামের কৃষক গনি মিয়া জানান, কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হলে চারাগুলো লালচে রঙ ধারণ করে উপরের দিক থেকে শুকিয়ে যেতে শুরু করে। এতে বীজতলার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে জীবননগর উপজেলায় ৩৮০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এ বছর উপজেলায় মোট ৭ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনের মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে বীজতলার বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। বীজতলা সুরক্ষায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় পানি জমিয়ে রেখে সকালে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করছে।
চাইলে আমি এটিকে আরও সংক্ষিপ্ত, ডাবল কলাম লেআউট উপযোগী, বা জাতীয় দৈনিকের নির্দিষ্ট স্টাইল অনুযায়ী সাজিয়ে দিতে পারি।