মোস্তাফিজুর রহমান: [২] ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হত্যা মামলার আসামি বন্দি হাজতি মো. সামসাদ আলী গুল্লার (৩২) মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটায় ঢামেক এর জরুরি বিভাগে এবং অপরজন মানব পাচারকারী মামলার আসামি বন্দী হাজতি প্রিসন সাংমা (৩০) সোমবার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন ঢামেকে মারা যান।
[৩] অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে কারারক্ষী মো. আনোয়ারসহ কারারক্ষীরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বন্দি সামসাদ আলী গুল্লারকে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরজনকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে কারারক্ষীরা কারা কর্তৃপক্ষের প্রিসন সাংমা (৩০) কে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢামেকে মেডিসিন বিভাগের ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৫০মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
[৪] সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ দুটি ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। কারা সূত্রে জানা যায়, মৃত সামসাদ আলী গুল্লার হত্যা মামলায় বন্দি ছিলেন। মৃত প্রিসন সাংমা মানব পাচার মামলায় বন্দি ছিলেন।
[৫] মৃত সামসাদ আলী গুল্লার মিরপুর ১২ নম্বর সেকশন পল্লবী থানার এলাকায় বাসিন্দা পেশার তিনি সেলুন কর্মচারী ছিলেন। পল্লবী থানার হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তিনি। বাবার নাম মো. শওকত আলি। মৃত প্রিসন সাংমা শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকা কোড়া গ্রামের কৃষক জনসন মারাক এর ছেলে। পেশায় সেলুন কর্মচারী ছিলেন। তিনি উত্তরা পশ্চিম থানার মানব পাচার মামলায় বন্দি ছিলেন। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এমআর/এসসি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :